আদালত প্রতিবেদক
খালেদার দুই মামলায় হাইকোর্টের আদেশ আপিলে বহাল
ঢাকার মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনসহ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের আদেশ বহালই থাকল। এদিকে কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকার্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকবে কিনা, তা আজ মঙ্গলবার জানাবে আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ গতকাল সোমবার আদেশের এই দিন রাখে। রাষ্ট্রপক্ষে এদিন শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। ২০১৫ সালে বিএনপি জোটের টানা অবরোধ হরতালের মধ্যে ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তাতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়।
মানহানির দুই মামলায় গত ৩১ মে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনসহ আবেদন নিষ্পত্তিতে বিচারিক আদালতের প্রতি আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ২২ মে হাইকোর্টে এ দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়া ও ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা দুইটি করা হয়। দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পরিদর্শক এ বি এম মশিউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রতিবেদন জমা দেন।
"