চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরে বোরো ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগ
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে ছত্রাক জাতীয় নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের সার্বিক প্রচেষ্টায় এ রোগ অনেকটায় নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১৮ হাজার ৭০৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার আলোকডিহি ও সাতনালা ইউনিয়নের বোরো ক্ষেতের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রামে গ্রামে কৃষকেদের এ রোগের আক্রমণ হতে ক্ষেত রক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম জানান, অফিস থেকে আমাদের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বন্ধের দিনেও বিভিন্ন জায়গায় কৃষক কৃষাণিদের নিয়ে দলীয় আলোচনা ও উঠান বৈঠক করছি। তাছাড়া অফিস থেকে সরবরাহকৃত পরামর্শ প্রেসক্রিপশন সরবরাহ করছি। তিনি আরো বলেন, বৈরী আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে এ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষক নছির উদ্দিন জানান, তিনি সঠিক সময়ে এ রোগ বুঝতে না পারায় তার ১ বিঘা জমিতে চত্রাক জাতীয় নেক ব্লাস্ট আক্রমণ করে। পরে তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহার করায় তার ধানক্ষেত ৭০ ভাগ রক্ষা হয়েছে। সাতনালা ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক রাজু, জাকির, আরিফ, নজরুল, নশরতপুর ইউনিয়নের শহিদ, মামুন, ফতেজংপুর ইউনিয়নের খাড়িপাড়া গ্রামের সালাম, রহমান, ফয়জারসহ আরো অনেকে জানান, প্রথমদিকে, এ রোগ দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের দেওয়া পেসক্রিপশন অনুযায়ী, বালাইনাশক স্প্রে করে ব্লাস্ট সংক্রমণ থেকে ধানক্ষেত এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ব্লাস্ট রোগ একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এটি বৈরী আবহাওয়ায় দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে সঠিক সময়ে যদি সঠিক বালাইনাশক স্প্রে করা যায় তবে এ রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আমাদের কৃষি বিভাগের সকল উপসহকারীরা কৃষকের পাশে থেকে লিফলেট ও প্রেসক্রিপশনসহ সব রকমের পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে নতুন করে কোনো ধানক্ষেত আর এ রোগে আক্রান্ত না হয়।
"