লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

  ০৩ মে, ২০২৪

নাটোরে আ.লীগ নেতা হত্যায় ৪ জন গ্রেপ্তার

নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর রেলস্টেশন এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ওই আওয়ামী লীগ নেতা এক হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। স্থানীয় হাটবাজার ইজারা, খালে মাছ চাষ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়ে ওই নেতার মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব চলছিল প্রতিপক্ষদের সঙ্গে। পুলিশ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সুমন, তমাল, লিটন ও রবিউল।

এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের পরিবার থানায় মামলা করেছে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪৫) ওই উপজেলার বাহাদীপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি। নর্থবেঙ্গল সুগারমিলের স্টাফ এবং ওই মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার গেপালপুর আজিমনগর রেলস্টেশনে রবিউল ইসলামের কনফেকশনারি দোকানের সামনে অবস্থান করছিলেন মঞ্জু। হঠাৎ ২-৩টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক এসে মঞ্জুর মাথায় এবং পেটে গুলি করে দ্রুত সরে পরে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দা ও একাধিক নেতা জানান, বর্তমান সাংসদ আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ২০১৮ সালে এমপি ছিলেন বকুল। সেই সময়ে লালপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিররুল ইসলাম ছিলেন বকুলের অনুসারী। অপরদিকে মঞ্জু এবং তার ছোট ভাই মোশতাক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ অনুসারী। ওই সময় স্থানীয় খালের দখল, টেন্ডারসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাহিররুলদের সঙ্গে মোশতাক-মঞ্জুদের দ্বন্দ্ব হয়।

২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর নাটোরের নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস গেটে জাহিররুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় আসামি ছিলেন মঞ্জু। কিছুদিন পর মোশতাক বকুল গ্রুপে যোগ দিলেও মঞ্জু কালাম গ্রুপেই থেকে যান। এরপর থেকে বকুল গ্রুপের তুমন ওরফে শুটার তুমন ও মোশতাক স্থানীয় খাল ছাড়াও হাটবাজার ইজারা নেওয়াসহ নানা সুবিধা ভোগ করতেন।

গত জাতীয় নির্বাচনে আবুল কালাম আজাদ এমপি নির্বাচিত হলে মঞ্জু সক্রিয় হন। একই সঙ্গে তুমনের সঙ্গে মোশতাকের নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close