চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৯ মার্চ, ২০১৮

‘মহিউদ্দিন গ্রুপে’ চট্টগ্রামের এমপি লতিফ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য এমএ লতিফের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধিতা ছিল; সেসব ভুলে এমএ লতিফ গতকাল রোববার মহিউদ্দিনের বাসায় যান এবং জেয়াফত অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির পর ‘মহিউদ্দিন গ্রুপে’ যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন লতিফ। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের এই সময়ে বিষয়টি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে ষোলশহর দুই নম্বর গেটের চশমা হিলে মহিউদ্দিনের বাসায় গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন চট্টগ্রামের বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ। মহিউদ্দিন চৌধুরীর দুই ছেলের প্রশংসা করে এমএ লতিফ বলেন, ‘মহিউদ্দিন ভাইয়ের ছেলে নওফেল ও সালেহীন সুশিক্ষিত। তাদের আচার-ব্যবহার মার্জিত। তারা ভালো ছেলে। তারা কাউকে অমর্যাদা করবে না। কাউকে খাটো করে দেখবে না। যাদের জ্ঞানের পরিধি থাকে না তারা আন্ডারমাইন্ড করে।’

একসময় মহিউদ্দিনের বিরোধিতায় সরব থাকা এমএ লতিফ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আগেও মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় এসেছি। তার কবর জেয়ারত করেছি। জীবদ্দশায় হয়তো গ্রুপিংয়ের কারণে আমার আসা-যাওয়া কমে যায় সেটি অসত্য নয়। মহিউদ্দিন চৌধুরী ভাইয়ের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে যে অবদান, ত্যাগ, ভূমিকা সেটি চট্টগ্রামের অন্য কোনো আওয়ামী রাজনীতিকের আছে বলে আমি মনে করি না। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল। যদিও গ্রুপিংয়ের কারণে আমি দূরে ছিলাম।’

এমএ লতিফ বলেন, আমাকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিতে এনেছেন। আমি আসার পর পার্টির রীতিনীতি, পলিটিক্যাল কৌশল একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যা দেখেছি, একজন সমাজকর্মী হিসেবে যা দেখেছি রাজনীতির জন্য আরো কিছু অভিজ্ঞতার দরকার ছিল। সেক্ষেত্রে আমার সীমাবদ্ধতা ছিল। সেই কারণে হয়তো পুরোপুরিভাবে কোনটি ভালো, কোনটি মন্দ, কোনটি সত্য, কোনটি অসত্য আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি সেই সময়। রাজনীতির মাঠে ৯ বছর পার করেছি। এখন আমি মনে করি, রাজনীতির মাঠে-ময়দানে, রাজনীতির অভ্যন্তরেও রাজনীতি থাকে। এখন সেটি আমার কাছে পরিষ্কার।

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা চট্টগ্রাম শহরেই হতো বলে মন্তব্য করে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা চট্টগ্রাম মহানগরে না হওয়ায় সংসদ সদস্য হিসেবে মর্মাহত হয়েছি। চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়ার দূরত্ব বেশি নয়। ১৫ মাইল দূরে। নেত্রীর জনসভায় ১০০ মাইল দূর থেকে মানুষ আসবে, এটা স্বাভাবিক। এগুলো আবেগের বিষয়। সিটির বাইরে জনসভা হওয়াটা আমরা যারা সিটিতে রাজনীতি করছি তাদের ব্যর্থতা। মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে হয়তো এটা হতো না। নেত্রীকে রাজি করাতেন শহরে জনসভা করতে। মহিউদ্দিন ভাইয়ের অনুপস্থিতির জন্যই আমরা সাফার করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist