সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৭ আগস্ট, ২০১৭

মেঘনা সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়, মহাসড়কে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিত্যদিনের যানজটের কারনে যাত্রাপথে চরম ভোগান্তি এখন মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও এসড়কে চলাচলরত যাত্রীদের অভিযোগ মেঘনা সেতুর উপর দিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক, তেলের ট্যাংকার ও ট্রেইলার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওজন স্কেল বসিয়ে টাকা আদায়ের কারণে প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতুর উভয় পাশে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবিসহ সাধারন মানুষ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুতে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএফ ওভারলোড অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণে ওজন স্কেল সিস্টেম মেশিন বসিয়েছে। কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাকগুলো থামিয়ে চেক করার নামে লাইনম্যানদের চাঁদাবাজীর কারনে মেঘনা সেতুর উভয় পাশে প্রায় প্রতিদিন ১৫-২০ কিলোমিটর যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ওজন স্কেল নিয়ন্ত্রণে কর্মরত কিছু অসাধু লাইনম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেপরোয় চাঁদাবাজীর কারণে ওভারলোড অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাকগুলোকে সহজেই সেতু পারাপারের সুযোগ করে দেয়া হয়। মেঘনা সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত মালবাহী ওভারলোড যানবাহন ছেড়ে দেওয়ার ফলে সেতুর স্থায়িত্বও এখন হুমকিতে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, মেঘনা সেতুর উপর দিয়ে সরকার নির্ধারিত ২০ টনের অধিক ওজনের যানবাহন থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নিয়ম থাকলেও প্রায় সব পন্যবাহী যানবাহন থেকেই চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ চালকদের। ওজন কম হলেও কোন ছাড় দেওয়া হয় না। সরেজমিনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়।

আব্দুল গাফফার নামে একজন ট্রাক চালক জানান, সম্প্রতি সেতু পারাপারে আমার মালের ওজন অনেক কম হওয়ার পরও আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ২ হাজার ৩ শত আদায় করেছেন টোল কর্তৃপক্ষ। এমনকি আমার ট্রাকে মালের ওজন কত তা রশিদে উল্লেখ নেই। অনেক চালক চাঁদা দিতে না চাইলে টোল আদায়কারী লাইনম্যানরা গাড়ি ভাংচুরসহ মারধর করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন রশিদ না দিয়ে চাঁদা নিয়েই ছেড়ে দেয়া হয়।

মেঘনা সেতুর স্কেল ঠিকাদার কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসান জানান, টোল আদায়কারি কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত টাকা আদায়ে জড়িত থাকে অব্যশই আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

কাচঁপুর হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ ইন্সেপক্টর তৈয়ব হোসেন বলেন, টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কারণেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে প্রতিটি গাড়ী থেকে দেড়-দুই হাজার টাকা আদায় করছে। যার কারনে প্রতিদিন কমবেশি যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist