বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

কচুয়ায় জমে উঠেছে বীজপাতার হাট

বাগেটহাটে কচুয়ার বাধালে জমে উঠেছে বীজপাতার (চারা) হাট। বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে বসা এ হাটে দূর-দূরান্ত থেকে বীজপাতা কেনাবেচা করতে আসেন ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে থাকে এ বীজপাতার হাট। প্রতি বছর পৌষমাসের শুরু থেকে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ হাটে বীজপাতা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। শতাধিক ব্যবসায়ী বীজপাতার ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর তারা কৃষকদের বীজতলা থেকে বীজপাতা ক্রয় করে এ হাটে এনে বিক্রয় করে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে হাইব্রিড জাতের ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের আওতায় আনার লক্ষ্য মাত্রা আছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে বীজপাতা তৈরি করা হয়েছে।

সরেজমিনে বাধালের বীজপাতার হাটে দেখা গেছে, প্রতি পোন বীজপাতা (৮০ আঁটি) প্রকার ভেদে ২৯০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ১ কজি বীজ ধানে ১২০ থেকে ১৩০ মুটি বীজপাতা হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, বাধল, রঘুদত্তকাঠী, মসনী, গোপালপুর, বলভদ্রপুর, বিষখালী, রামচন্দ্রপুর, কচুবুনিয়াসহ পাশের জেলার কৃষকও এ হাটে এসে বীজপাতার কিনছেন। চলতি মৌসুমে বীজপাতার দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়েছে।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ সার বিতরণসহ কৃষকদের প্রশিক্ষণের ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। বোরো মৌসুমে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বীজতলা পরিদর্শন করে থাকে। অনেক কৃষক চারা উৎপাদন করে তাদের জমিতে রোপণ করে উদ্বৃত্ত চারা বাধাল বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা এই চারা কিনে জমিতে রোপণ করতে পারছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close