জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

সৈয়দপুর পৌরসভা

হয় উন্নয়ন, নয় মেয়র অপসারণ

নীলফামারীর সৈয়দপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও উন্নয়ন নেই বললেই চলে। অথচ প্রতি বছরই শহর উন্নয়নে কোটি কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়। অথচ দীর্ঘদিন শহরের রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। হয় শহরের উন্নয়ন হবে, না হয় মেয়রকে অপসারণ করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৭ মার্চ) ওয়াবদা মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি তুলেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা বাবু ও নওশাদ আনছারি।

বক্তারা বলেন, ১৯৫৮ সাল থেকে সৈয়দপুর পৌরসভায় অনেকেই মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ওই সময় শহরের কিছু না কিছু উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু রাফিকা আকতার জাহান বেবি নিজের ও পিএসের উন্নয়ন ছাড়া শহরবাসীর কোনো উন্নয়নই করেননি। উন্নয়নের কথা বললে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি কোনো তোয়াক্কাই করেন না। এ কারণেই তার অপসারণ করেন।

তবে অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, পৌরবাসীর উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। বরাদ্দ মিললে উন্নয়ন হবে, না মিললে করার কিছুই নেই।

এলাকাবাসী বলেন, ১৯৫৮ সালে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা গঠিত হয়। আর প্রথম শ্রেণীতে রূপ নেয় ১৯৯৬ সালে। অথচ সাড়ে চার লাখ নাগরিকদের এই শহরের সড়ক, ড্রেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবকিছুর অবস্থা বেহাল। প্রধান সড়কসহ অলিগলির সব পথ খানাখন্দে ভরা। এ শহর যেন ভোগান্তির শহরে পরিনত হয়েছে। প্রতিকারের জন্য বার বার মেয়রকে অনুরোধ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। তাই মেয়রের অপসারণ দাবি করেন তারা।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, গত পৌর নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন রাফিকা আকতার জাহান বেবি। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, সৈয়দপুরকে মডেল শহরে রূপ দিবেন। কিন্তু তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে শহরের কোনো উন্নয়নই করেননি। শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কই খানাখন্দে ভরা। ড্রেন অপরিস্কারের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবনের সৃষ্টি হয়। শহরবাসীর উন্নয়ন না হলেও নিজের ও তার পিএসের উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে ঠিকই।

এলাকাবাসী আরো বলেন, শহরের তামান্না মোড় থেকে ওয়াবদা মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমটার রাস্তার অবস্থা একেবারেই বেহাল। খানাখন্দে ভরা এ রাস্তায় প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রায় প্রতি মাসেই মেয়র বরাবর আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো কর্ণপাতই করছেন না। এ কারণে বাধ্য হয়ে ১৭ মার্চ দুপুরে মানববন্ধন করেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close