মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

  ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

কুমিল্লা নগরের ৬টি এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা বেশি

গাড়ি লাইসেন্স দেওয়া সময় কোন হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে দেখার দাবি * শব্দদূষণের ফলে তৈরি হচ্ছে বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি

কুমিল্লা নগরের ৬টি এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা বেশি। এসব স্থানে ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হচ্ছে। এর মধ্যে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় ৮২ দশমিক ১ ডেসিবেল, পুলিশ লাইনে ৭৯ দশমিক ৩ ডেসিবেল, শাসনগাছা ৯২ দশমিক ২ ডেসিবেল, টমসমব্রিজে ৮৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল, চকবাজারে ৮৬ দশমিক ৬ ডেসিবেল ও জাঙ্গালিয়া এলাকায় ৭৮ দশমিক ৭ ডেসিবেল শব্দাঙ্ক রেকর্ড করা হয়েছে।

গত বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব এ তথ্য দেন। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল¬া সদর সার্কেল কামরান হোসেন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুল আলম।

স্বাগত বক্তব্যে মোসাব্বের হোসেন রাজিব বলেন, ‘বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশি হয়। এগুলো হলো- পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগব্যাধি দেখা দেয়। শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’

আলোচনা সভায় অন্য বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণ মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানবদেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে আঘঅত করে। ফলে মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা, বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। বিআরটিএর উচিৎ একটা গাড়ি লাইসেন্স দেওয়া সময় তাতে কোন হর্ণ ব্যবহার করছে, সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close