এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর

  ০৫ মে, ২০২৪

কেমিক্যাল-রঙ দিয়ে তৈরি হতো জুসসহ শিশু খাদ্য

ফরিদপুর শহরে শিশুখাদ্য হিসেবে ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধু বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ও রং ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল এসব জুস। শহরে এমন একটি ভেজাল জুস কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন ওই কারখানার মালিক মো. লিটন মিয়া। এসময় জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল জুস। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি। 

ফরিদপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকার ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পাশে মৃত মো. নাছিরুজ্জামানের বাড়িতে চলছিল ভেজাল জুসের কারখানা। গতকাল শনিবার বিকেলে ওই বাড়িতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালাণ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানাযায়, মাহমুদপুর এলাকার মৃত মো. নাছিরুজ্জামানের বাড়ির বাইরে থেকে ভেজাল জুস কারখানার কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা-জানালা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের ভিতরে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছিল বিষাক্ত ক্যামিকেল ও বিভিন্ন রং ব্যবহার করে জুস তৈরি। এ সময় একই বাড়িতে অন্য ঘরে অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করায় একটি কারখানও পাওয়া যায়। সেখানে তাদের ল্যাবসহ রয়েছে বোতলাজাত ও প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা।

কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন, রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো. লিটন মিয়া। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো করা হয়। বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলিসহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে জব্দ মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিন রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন ফরিদপুর জেলা এনএসআই উপপরিচালক তৈয়েবুল মাওলা, এনএসআই ফিল্ড অফিসার মো. আনোয়ারুজ্জামান, জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশিদ ও পুলিশের একটি দল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close