সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাতে এক সময় বাড়িতে ও রাস্তার পাশে সারি সারি তাল গাছ ছিল। এখন তেমন একটা দেখা যায় না। যা ছিল তাও আজ বিলুপ্তির পথে। এই অবস্থায় এলাকাবাসীকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা ও তাল গাছ বাঁচিয়ে রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চকবরু গ্রামের এস. এম. আমিনুল হক স্বপন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার তালবীজ রোপণ করেছেন। ইতিমধ্যেই তার রোপণ করা গাছগুলো দৃশ্যমান হয়েছে এবং রাস্তায় পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এস. এম. আমিনুল হক স্বপন পেশাগত জীবনে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সলংগা থানার দক্ষিণ পুস্তিগাছা-বনানী বালিকা বিদ্যালয় হতে শলী বাজার আধা কিলোমিটার, হরিণ চড়া বাস স্ট্যান্ড হতে ধরাইল হাট ৪ কিলোমিটার রাস্তার দুইধারে গাছ রোপন করেছেন। এছাড়াও ধরাইল গাছগাড়াঁ সেতু হতে কুচিয়ামারা দিকে, দবিরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড হতে বিশ্বরোড এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে ভেংড়ি গ্রাম পর্যন্ত, চকবরু গ্রাম ও এর আশে পাশে, পুস্তিগাছা গ্রাম হতে কচিয়ার বিলের দিকে, শলী বাজার হতে বাঘমারা গ্রাম ও ভেংড়ি পূর্ব পাড়া পর্যন্ত এবং শলী গ্রামের পাশে রোপন করা গাছ গুলোর নিবিড় পরিচর্যায় হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষক স্বপন বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছরই বজ্রপাতে প্রাণ হারান অনেকেই। প্রয়োজনের তুলনায় গাছ পালা নেই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। তাই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, অপার সৌন্দর্যের গাছ তালগাছ। বজ্রপাাত নিধোরক। মাটির ক্ষয়রোধকারী ও দীর্ঘজীবি তালগাছ। বহুগুণের ফল তাল। তালশাঁস শরীর কে শীতল করে, হাড় ও কোষের ক্ষয় রোধ করে। এই গাছে পাখিরা বাসা বাঁধে। কাঠ ও জ্বালানী হয় এছাড়া তালগাছের পাতা দিয়ে হাতপাখা, মাদুর ও খেলনাসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। আমার লক্ষ্য জীবনে কমপক্ষে এক লাখ তাল গাছের চারা লাগানো। এ মহৎ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করে সবাইকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে জন্ম ভূমিকে বৃক্ষ অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানাই।

"