সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বাঘাবাড়ি নিমাইচড়া রিংবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় বাঁধ ভাঙার আশংকা স্থানীয়দের। বাঁধ ভেঙে গেলে ৩টি জেলার হাজার হাজার হেক্টর ধান তলিয়ে যাবে। এদিকে বাঁধে অতিরিক্ত পাহাড়া বসানো হয়েছে।

জানাগেছে, শাহজাদপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বাঘাবাড়ি নিমাইচড়া রিং বাঁধ অবস্থিত। প্রায় ১২০০ মিটার লম্বা এই বাঁধ নির্মাণে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এই রিংবাঁধে বরাবরই রয়েছে নানা অনিয়ম। বাঁধে যে পরিমান মাটি ও বালি ফেলানোর কথা তা করা হয় না।

স্থানীয় গ্রামবাসি জানান প্রতি বছরই এখানে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় বাঁধ নির্মাণে চলে নানা অনিয়ম। পানি উন্নয়ন বোর্ড সব কিছু জেনেই প্রায় ২০ বছর ধরে এই বাঁধ নির্মাণে সরকারি টাকা লুটপাট করছে। অনিয়ম যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিং বাঁধ নির্মাণে যে পরিমান টাকা সরকারের ব্যয় হয়েছে যদি সদিচ্ছা থাকত তাহলে এখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা যেত। অভিযোগ রয়েছে প্রতি বছরই রিং বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়। এটা যেন অনেকের বাৎসরিক অনেকটা আয়ের উৎস।

সিরাজগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ইমতিয়াজ আহম্মেদ গত সোমবার টেলিফোনে জানান বাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম করা হয়নি। বাঁধ সম্পূর্ন ঠিক আছে। কোন সমস্যা হবেনা কৃষকদের ধান কাটতে।

তিনি আরও বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রাণালয়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। যেহেতু রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয এখানে স্থাপন হবে তাই বাঘাবাড়ির পাশে নিমাইচড়া রিং বাঁধ হবে একটি স্থায়ী রিং বাঁধ। এদিকে পাবনা, নাটোর সিরাজগঞ্জসহ চলনবিল এলাকার ৬২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়। পানি বাড়ার ফলে বাঁধ যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আতংকে রয়েছে এসব এলাকার কৃষক। এ জন্য গ্রামবাসি রাত জেগে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস ছালাম জানান, রিং বাঁধ এখনোও ভালো আছে। এলাকার কৃষকেরা ধান কাটতে শুরু করছে।

"