নীলফামারী প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০২২

নীলফামারী পাসপোর্ট অফিসের গোমর ফাঁস

গেল মাসের ৫ এপ্রিল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন। নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষের পাসপোর্ট প্রদানের কথা ছিল ২৭ এপ্রিল। তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় তার বিশ্বস্ত ব্যক্তি দ্বারা পাসপোর্টের খোজ খবরে জানতে গেলে, তথ্যগত ভুলের কারণে সার্ভার তার পাসপোর্টটি আটকে দিয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাথায় তার মুঠোফোন নাম্বরে পাসপোর্টের সাকসেসফুল নোটিফিকেশন ম্যাসেস আসে। দীর্ঘ ৩৬ দিন পর তার কাছে সাকসেসফুলের নোটিফিকেশন আসলো কিভাবে ? এ প্রশ্নের জবাব জানতে আরিফ হোসেন মুন গতকাল দুপুরে নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোতাহার হোসাইনে কক্ষে জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রেনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অফিসের সহকারী পরিচালক মোতাহার হোসাইনের কাছে জানতে চান ? তার পাসপোর্ট আবেদনের তথ্য ভুল থাকলে মুঠোফেনে ম্যাসেজ আসলো কিভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে সহকারী পরিচালক মোতাহার হোসেইন তার এই কর্মকান্ডের দায়ভার চাপালেন এভাবে। তিনি বলেন, পাসপোর্ট আফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে আবেদনের তথ্যগত ভুল ধরার ক্ষমতা নেই।

তথ্যগত ভুল ধরার ক্ষমতা রয়েছে একামাত্র তথ্য সংগ্রহকারী ডিভাইস বা সার্ভারের। এ কারণে পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জঠিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ সময় অফিসের অনিয়মণ্ডদুনীতির অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়ে ছিলেন অনেক পাসপোর্ট আবেদনকারীরা। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, এ অফিসে হায়রানির শিকার চিরাচারিত নিয়ম। পাসপোর্ট আবেদনকারী সৈয়দপুর উপজেলার শহরের সাংবাদিক পিকে সাইদুল উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচছারিতা ও অনিয়মণ্ডদুনীতির শিকার আমিও। আমি দীর্ঘদিন ধরে বাত এবং ব্যাথায় ভুগছি। তিনি উন্নত চিকিৎসা নিতে ভারতে যেতে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনে আবেদন করে দীর্ঘদিন ধরে নানা তথ্য প্রদানে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পাসপোর্টধারীদের হায়রানি শিকার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ¦বান জানিয়েছেন তিনি।

আরিফ হোসেন মুন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমি সরকারি নির্ধারিত ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা প্রদান করে ই-পাসপোর্টের আবেদন করেছি। পাশাপাশি তথ্যগত ভুল থাকলে তাদের উচিৎ আবেদনের সময় তা জানিয়ে দেওয়া। তা না করে ৩৬ দিন পর আমার আবেদন আটকে রাখা হলো কি অনৈতিক কারণে। এ রকম আর কোন পাসপোর্ট আবেদনকারী হয়রানীর ও দুর্নীতির শিকার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সরকার নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিসে নির্দেশনা জারি করলেও কতপিয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা তা আমলে নিচ্ছে না। কিছু-কিছু প্রতিষ্ঠানের এসব কর্মকান্ডের কারনে বর্তমান সরকারের ভাবমুর্ত্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close