বান্দরবানে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ। এতে অতিরিক্ত ভাড়াসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই কোন গণপরিবহন শহর থেকে যেতে দেখা যায়নি।

শ্রমিক সংগঠন জানায়, গত ২২ এপ্রিল কাপ্তাই সড়কে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে শাহ-আমানত নামে একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা বাস ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় সব সড়কে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ফলে রবিবার সকাল থেকে বান্দরবান থেকে কোন প্রকার দূরপাল্লার গণপরিবহন শহর ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। তবে সিএনজিসহ ছোট যানবাহন চলাচল করায় গাড়ি পাল্টিয়ে লোকজনদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটতে দেখা গেছে। আর ধর্মঘটের সুযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চাঁদের গাড়ির (জীপ) চালকেরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উম্মে হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয় খুলেছে। তাই বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে সবার। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে তাকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

চাঁদের গাড়ি চালক শাহাবুদ্দিন বলেন, সিএনজি চালিত অটো রিকশা গাড়িগুলো সাধারণত বান্দরবান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত জনপ্রতি ৯০ টাকা করে নেয়। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চাপ থাকায় ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝুন্টু জানান, বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের প্রথমদিনে বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সড়কের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

পিডিএস/আরডি