উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কুড়িগ্রাম

উলিপুরে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ ও নদের বুকে জেগে ওঠা জলাধারগুলোতে (কোলা) অবাধে বিভিন্ন জাতের পাখি শিকার করা হচ্ছে। সৌখিন ও পেশাদার শিকারিরা বিষটোপ ও বড়শিসহ নানান ফাঁদ পেতে নির্বিচারে খাদ্য আহরণে আসা এসব পাখিদের শিকার করছে। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ বাড়ছে।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত উপজেলার সাহেবের আলগা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর-পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য। আসামের পাহাড়ী অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই চকোয়া, বালিহাঁস, গাঙ কবুতর, সারস, পানকৌরিসহ নানা জাতের পাখি ব্রহ্মপুত্র নদ ও বিভিন্ন জলাধরে খাবার সংগ্রহের জন্য আসে। এ সুযোগ অসাধু শিকারিরা বন্দুক, বিষটোপ, বড়শি, জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি উপজেলার বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ ও জলাধরগুলো পাখি শিকারের দৃশ্য নজরে আসে। তবে এসব শিকারিরা দীর্ঘদিন ধরে পাখি শিকার করছে বলে জানায় তারা। সাহেবের আলগা এলাকার নুর আলম ও আব্দুর রহিম এরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিষটোপ দিয়ে অবাধে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে পাখি শিকার করে আসছে। একেকটা পাখি ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে সৌখিন শিকারিরাও আসে পাখি শিকার করতে।

সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ইউপি সদস্য সোলাইমান শেখ জানান, শীতের মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আসে। তখন আমরা স্থানীয়ভাবে দেশি ও অতিথি পাখিদের রক্ষার চেষ্টা করে থাকি। তবে এসময় নদীতে এসব পাখির সংখ্যা খুব কম। শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুড়িগ্রামের উলিপুর,ব্রহ্মপুত্র নদ,অতিথি পাখি শিকার,বিষটোপ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close