কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ১০ মে, ২০২২

হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা জজ আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর পর গতকাল সোমবার দুপুরে মামলার রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আট আসামিকে রায় শেষে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলো চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪) ও তসলিম উদ্দিন (৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল কাদের (৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু (৪১), মনির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪) এবং ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারে শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীকে (২২) তার দোকানে ১নং আসামি রাশেদসহ বাকিরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে নিহত নুরনবীর বাগবিত-া হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিলেও আসামিরা তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। এরই জেরে আসামি রাশেদ নুরনবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তারই দোকানে পরিকল্পিত হত্যার বিষয়টি মামলার রায়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে।

ছেলে হত্যার পর বাবা মোখলেসুর রহমান ৯ জনকে আসামি করে ২৩ জানুয়ারি ২০০৪ সালে চিলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি, ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামসুদ্দোহা রুবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close