পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পেকুয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী ছেলের হাতে মা খুন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় স্বামীর হাতে স্ত্রী ও ছেলের হাতে মা খুন হয়েছে। পৃথক এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়া খালী ও ভারুয়াখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার যৌতুকের দাবিতে মোছাম্মৎ সালমা বেগম (১৪) নামের এক গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালায় তার স্বামী আলমগীর। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান সালমা। সে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পন্ডিত পাড়া গ্রামের বাদশার কন্যা। অভিযুক্ত আলমগীর উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে। ছেলে-মেয়ে অপ্রাপ্ত বসয়ী হওয়ায় গত তিন মাস পূর্বে কাবিননামা ছাড়াই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আলমগীর ও তার পরিবারের লোকজন সালমাকে আকারণে মারধর করত।

এদিকে স্ত্রী মৃত্যুর খবর শুনে আলমগীর হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে নিহত সালমার আত্মীয় স্বজনরা তাকে আটক করে পুলিশে দেন।

অপরদিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রামে বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষান্ড ছেলে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছেলে নাছির উদ্দিনকে আটক করে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধার নাম শামসুন্নাহার (৮৩)। তিনি ওই এলাকার মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী।

বারবাকিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ভারুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলম জানায়, নাছির উদ্দিন ও তার ভাইদের মধ্যে বসতভিটার নিয়ে বিরোধ চলছিলো। মঙ্গলবার রাতে নাছির উদ্দিন দা নিয়ে উত্তেজিত হয়। স্থানীয়রা তাকে শান্ত করে। নাছির উদ্দিন বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকত। গতকাল সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে করে দিয়ে মাকে মারধর করে নাছির। অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ না পেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে শামসুন্নাহারের মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে।

এসআই সুমন সরকার জানায়, বৃদ্ধা শামসুন্নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নাছির উদ্দিন নামের এক ছেলেকে আটক করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close