ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

ঝালকাঠি

নিয়মিত প্লাবিত হচ্ছে তীরবর্তী ২ ইউনিয়ন

একযুগেও ঠিক হয়নি বেড়িবাঁধ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী মানুষের ওপর দিয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে সিডর বয়ে গেছে একযুগ হয়ে গেছে। কিন্তু সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধগুলো এখনো পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে কৃষকসহ তীরবর্তী হাজারো মানুষ পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মমর্তা (ইউএনও) বলছেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিয়ষটি জেলা উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে। তবে বাঁধের অভাবে নিয়মিত প্লাবিত হয়ে হচ্ছে উপজেলার মঠবাড়ী ও বড়ইয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রাম। ১২ বছর আগে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষ। নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এই প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ্বাস। সে সময় ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত বুঝতে না পারায় প্রাণ দিতে হয়েছে উপজেলার ১৭ জন মানুষকে। ভেসে যায় গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেড়িবাঁধ, ফসলের মাঠ, অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় পুরো উপজেলা। নদী তীরবর্তী এলাকা ঘুরে জানা যায়, উপজেলার মঠবাড়ী ও বড়ইয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামের নিয়মিত প্লাবিত হয়ে চরম কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ফসলের মাঠে পানি প্রবেশ করে প্রত্যেক মৌসুমে শতশত হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কোন কোন জমি চাষাবাদের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ এলাকাবাসীর চরম দাবির মুখেও আজও এই এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। ফলে দুর্যোগের সময় জানমালের নিরাপত্তা অনেকটাই অপর্যাপ্ত রয়ে যায় জেলেপাড়ার অসহায় জনগোষ্ঠী বসবাসকারি জনপদে। এমনকি দুর্যোগ মোকাবেলা বা আগাম সর্তকবার্তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে নেই কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।

জানতে চাইলে এ ব্যাপারে ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিয়ষটি জেলা উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close