শাকিল আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনগুলো পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে কয়েকটি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ টিনশেড ভবনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে কয়েকটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া এ রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ওই ভবনে ক্লাস করছে। একারণে আতঙ্কে রয়েছে অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বিদ্যালয় ১৯৯৪ সালে এলজিইডির মাধ্যমে চার কক্ষ বিশিষ্টি একটি ভবন নির্মিত হয়েছিল। ভবন নির্মাণের ২৩ বছর হয়ে যাওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ৪ বছর আগে বিদ্যালয়টিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। শুধু কোড়ালিয়া এ রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, একইভাবে উপজেলার আরো বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এরফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া এ রহমান, উত্তর কানকুনিপাড়া, সাজির হাওলা, দক্ষিণ চর রুস্তম, রসুলবাড়িয়া, গন্ডাদুলা এমএইচ, দক্ষিণ কাজির হাওলা, পূর্ব নেতা এইচএম ও উত্তর চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে কিছু বিদ্যালয় বরাদ্দ পাওয়ায় টিনশেড কক্ষ নির্মাণ করেছে। ওই কক্ষেই পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। আর যারা বরাদ্দ পায়নি তারা ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। টিনশেডে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম সগির এ ব্যাপারে জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো ক্লাস পরিচালনা করার অনুপযোগী হয়ে গেছে। ওইসব বিদ্যালয়ের তালিকা আমরা ইতোমধ্যে করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
"