ঢাবি প্রতিনিধি
এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
‘রগ কাটার ঘটনা ঘটেনি’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ‘সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি গতকাল বুধবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে রগ কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে, এশা সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। রগ কাটার অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। যেহেতু রগ কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইফফাত জাহান এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
এশাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ২৬ জন শিক্ষার্থীর নাম হল কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা কমিটিতে জমা দিয়েছেন বলেও জানান ঢাবি উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে এই ২৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রগ কাটার ঘটনা না হয়ে থাকলে মোর্শেদা খানম কিভাবে আহত হয়েছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘মোর্শেদা নিজেই বলেছে যে, সে নিজেই আঘাত পেয়ে পা কেটেছে। আর সে কিভাবে আহত হয়েছে, তা আমার চেয়ে সে-ই ভালো বলতে পারবে। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই যথাযথ উত্তর পাওয়া যাবে।’ গত ১১ এপ্রিল রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোর্শেদা খানমের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের সামনে এসে এশাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সেদিন এ ঘটনায় হলের ভেতরের ছাত্রীরাও আন্দোলনে ফেটে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত হলে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তাৎক্ষণিক মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এশাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে এশাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে ১২ এপ্রিল ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ১৩ এপ্রিল ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়। তাকে হেনস্তা করার অভিযোগে ১৬ এপ্রিল মোর্শেদা খানমসহ ২৪ ছাত্রলীগ নেত্রীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
"