ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

ফাইনাল মানেই একরাশ হতাশা

আরেকটি ফাইনাল, হতাশার আরেকটি অধ্যায়। যে পর্যায়ের ক্রিকেটই হোক, ফাইনাল মানেই যেন বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙার নিয়তি! জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মতো এবার উদীয়মানরাও হারল ফাইনাল। একের পর এক ম্যাচে দাপুটে জয়ে ফাইনালে আসা দল খেই হারাল আসল সময়ে। প্রথমবার শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে কাল বাংলাদেশকে ৭৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল দুবার জীবন পেয়ে পাকিস্তানের রোহাইল নাজির খেলেন ১১১ বলে ১১৩ রানের ইনিংস। ৫০ ওভারে তার দল তুলল ৩০১ রান। ব্যাটিং লাইনআপে ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ২২৪ রান। টুর্নামেন্টের আগের তিন আসরে দুবার রানার্সআপ হওয়ার পর এবার পাকিস্তানিদের মুখে চওড়া হাসি। আর বাংলাদেশের প্রথম ফাইনাল শেষ হলো তিক্ততায়। উদীয়মান টাইগারদের সঙ্গে মাঠে আসা হাজার পাঁচেক দর্শকও মাঠ ছাড়লেন হতাশায়। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারিয়েছিল হংকং, ভারত ও নেপালকে। সেমি-ফাইনালে উড়িয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে। সব ম্যাচেই জয়ের ধরন ছিল একই। টস জয়, আগে বোলিং। প্রতিপক্ষকে নাগালের মধ্যে আটকে রেখে রান তাড়ায় অনায়াস জয়। ফাইনালেও সেই পথ পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার মাঝপথেই হয়েছে পথচ্যুত।

কাল টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুটা খারাপ ছিল না। কিন্তু এরপর বাজে বোলিং-ফিল্ডিং আর পাকিস্তানের দারুণ ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় অনেক বড়। সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট সৌম্য সরকার। ৬১ গড় ও প্রায় ১০৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৪৪, উইকেট নিয়েছেন পাঁচটি। তবে প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একজনের কাছে উদীয়মানদের টুর্নামেন্টে এমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশিতই। এটিকে তাই সান্ত¡না বলার জো নেই!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close