ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

শেষের নাটকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল

বড়দের বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার জুনিয়র-থিয়াগো সিলভারা। তবে ছোটদের বিশ্বমঞ্চে সফল গ্যাব্রিয়েল ভেরন-কাইয়ো-লাজারো ভিনিসিয়ুসরা। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল তারা। ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় মেক্সিকোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিলের কিশোররা।

কাল ভোরে ঘরের মাঠ গামায় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মেক্সিকোর কিশোরদের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দল। বেজেরাও স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠে খেলা। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। তবে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ হলেও প্রথমার্ধে গোলমুখ খুলতে পারেনি কোনো দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। এ অর্ধের শুরুতে দারুণ ছন্দময় ফুটবল উপহার দেয় মেক্সিকোর কিশোররা। ফলে সাফল্যও পেয়ে যায় তারা। ৬৬ মিনিটে দারুণ গোলে দলকে লিড এনে দেয় ব্রায়ান গঞ্জালেস।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিলের টিনএজাররা। তবে সহসা গোল আসছিল না। কিন্তু এক পর্যায়ে সেই তোড় সামলাতে পারেনি মেক্সিকো। ৮৪ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান এক ফরওয়ার্ডকে ফাউল করে তারা। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান লাটভিয়ান রেফারি আন্দ্রিস ট্রেইমানিস। সফল স্পট কিক থেকে নিশানাভেদ করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরায় কাইয়ো। এতে ম্যাচে জয়ের রসদ পেয়ে যায় সেলেসাও জুনিয়ররা। নাটকীয়ভাবে ইনজুরি টাইমে জয়সূচক গোল করে দেশকে শিরোপা এনে দিতে ভূমিকা রাখে লাজারো।

অবশ্য ব্রাজিলকে ম্যাচে ফেরানো পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। শুরুতে জেসুস গোমেসের কড়া ট্যাকলের মুহূর্ত দেখতে পারেননি রেফারি। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেন তিনি। এরপর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। ম্যাচের পর মেক্সিকো কোচ হোসে মারিয়া এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এ রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন রেফারি। বয়সভিত্তিক ফুটবলের এই বিশ্ব আসরে এটি ব্রাজিলের চতুর্থ শিরোপা। আর আট বছরে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেও রিক্তহস্তে ফিরতে হলো মেক্সিকোকে। এদিন আগের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে ফ্রান্স।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close