মায়ের কোল থেকে ছিটকে কার্নিশে আটকা ৮ মাসের শিশু
কান্নারত আট মাস বয়সী শিশুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন এক মা। কিন্তু বাচ্চা জিদ করায় তাকে নিয়ে ৪ তলা বারান্দায় আসেন তিনি। সেখানেই খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় শিশুটি ছটফট করায় মায়ের হাত ফসকে ছিটকে পড়ে যায়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে শিশুটি নীচে না পড়ে আটকে যায় দোতলার কার্নিশে। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। ভিডিও
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শিশুটিকে উদ্ধারের সেই ভিডিও। তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে শিশুটিকে উদ্ধারে প্রতিবেশীদের কার্যত দুঃসাহসিক অভিযানই চালাতে দেখা গেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। শহরের আভাদি এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের দোতলার কার্নিশেই ঝুলতে দেখা যায় এক শিশুকে। উল্টোদিকের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা শিশুটিকে দেখতে পেয়েই চিৎকার শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাকিরাও বেরিয়ে আসেন। নিজেরাই উদ্ধার করার চেষ্টা করেন শিশুটিকে।
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গেছে, প্রতিবেশীদের মধ্যে এক ব্যক্তি দোতলার জানালা দিয়ে বেরিয়ে সরু জায়গায় দাঁডোন। আরও দুইজন ব্য়ক্তি তাকে ধরে থাকেন নিরাপত্তার জন্য। এরপর ওই ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে শিশুটিকে ওপরের কার্নিশ থেকে উদ্ধার করেন।
শিশুটি যেহেতু অত্যন্ত ছোট এবং হামাগুড়ি দিচ্ছিল, একপর্যায়ে তার পা কার্যত শূন্যে ভাসছিল। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য বাকি প্রতিবেশীরা একতলায় টানটান করে চাদর ধরে দাঁড়িয়েও ছিলেন। নিচে পাতা হয় গদিও, যাতে শিশুটি পড়ে গেলে কোনও আঘাত না পায়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই বিল্ডিংয়েরই ৪ তলায় থাকে শিশুটি ও তার পরিবার। শিশুটির বয়স ৮ মাস। রোববার দুপুরে খাওয়ানোর সময় শিশুটি খুব কান্নাকাটি করায়, তাকে নিয়ে বারান্দায় এসেছিল তার মা। খাওয়ানোর সময়ই কোনও কারণে মায়ের হাত ফসকে শিশুটি নিচে পড়ে যায় এবং দোতলার কার্নিশে আটকে যায়।
আভাদির পুলিশ কমিশনার শঙ্কর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভিজিএন স্টাফোর্ড নামক আভাদির আবাসিক কমিউনিটিতে। শিশুটি যখন পড়ে যায় তখন তার মা রম্যা তাকে বারান্দায় দুধ খাওয়াচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘মা যখন তাকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন তখন সে পড়ে যায়। ভিডিও এবং উদ্ধারের ঘটনাটি সত্যি। আমরা কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। শিশুটি ভালো আছে।’