ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৯ মে, ২০১৯

বোলারদের ব্যর্থতায় ভারতের বড় স্কোর

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুরু হলো কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে। এই পেসারের দ্বিতীয় বলের পরই শুরু হলো বৃষ্টি। তাহলে কি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ার্মআপ ম্যাচও প- হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের? এই শঙ্কা অবশ্য স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। মিনিট বিশেক পর ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আবার মাঠে নামে টাইগাররা।

বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। বোলারদের দেখে নিতে ভেজা উইকেটে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি মাশরাফি মর্তুজা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে শুরুতে বল হাতে ভারতকে চেপে ধরলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। সাকিব-রুবেলরা ছন্দ হারানোর কারণেই ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে জমা করে ৩৫৯ রান।

১০২ রান তুলতে ভারত হারায় ৪ উইকেট, পেরিয়ে গেছে তখন ২২ ওভার। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভয়ংকর ব্যাটিং লাইনআপের ভারতের জন্য মোটেও স্বস্তির স্কোর ছিল না। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে বাংলাদেশের বোলাররা যেমন শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি, তেমনি প্রতিরোধ গড়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে লোকেশ রাহুল ও মহেন্দ্র সিং ধোনি সাবেক বিশ্ব ?চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে যান রান পাহাড়ে। তাদের ১৬৪ রানের জুটিটাই মূলত বাধা হয়ে দাঁড়ায় টাইগার্স বোলারদের সামনে। অথচ শুরুতে কী চমৎকার পারফরম্যান্সই না ছিল মাশরাফিদের। নতুন বল হাতে নেওয়া মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন শিখর ধাওয়ানকে। শেষ পর্যন্ত ওই উইকেটটি নিয়ে ৮ ওভারে তার খরচ ৪৩। বিশ্বকাপের নামার আগে প্রস্তুতি মন্দ হয়নি ‘কাটার মাস্টারের’।

দ্বিতীয়বার উইকেট উৎসবে মাতে বাংলাদেশ রুবেল হোসেনের সৌজন্যে। রোহিত শর্মাকে বোল্ড করা এই পেসার পরে তুলে নিয়েছেন বিজয় শঙ্করের উইকেটও। যদিও রান একটু বেশিই খরচ করে ফেলেছেন তিনি। ৮ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে তার ব্যয় ৬২ রান। উইকেটের আত্মবিশ্বাস থাকলেও মূল মঞ্চে আরো মিতব্যয়ী হতে হবে রুবেলকে।

মাশরাফি নিজেসহ ব্যবহার করেছেন ৯ বোলার। যেখানে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক নিজেই। উইকেট না পেলেও ৬ ওভারে ২ মেডেনে ২৩ রান খরচ করা এই পেসার ম্যাচের বড় একটি অংশ কাটিয়েছেন মাঠের বাইরে। কার্যকর ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। বিরাট কোহলিকে ফেরানো এই পেসার ৬ ওভারে ১ মেডেনে দিয়েছেন ২৭ রান।

মাশরাফি, সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজ ছাড়া বাকি ৬ বোলার ওভার প্রতি খরচ করেছেন ৬ বা তার বেশি রান। সেঞ্চুরিয়ান লোকেশকে ফেরানো সাব্বির রহমান ৫ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। বাকি সবাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সামনে দিয়েছেন কঠিন পরীক্ষা। সাকিব যেমন ২ উইকেট পেলেও ৬ ওভারে খরচ করেছেন ৫৮ রান, যা তার নামের পাশে বেমানান।

কোনো ওয়ানডে না খেলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া আবু জায়েদ রাহী ভুলেই যেতে চাইবেন ম্যাচটি। ৩ ওভারে এই পেসারের খরচ ৪১। ওভার প্রতি ব্যয় ১৩ দশমিক ৬৬। মোসাদ্দেক হোসেন আছেন তার কাছাকাছি। এই স্পিনার ৩ ওভারে ৩২ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট। আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ৫ ওভারে তার খরচ ৪০ রান। এখানকার পারফরম্যান্স মূল লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। সেই জায়গায় বাংলাদেশের বোলারদের ঘাটতি থেকেই গেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close