ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খেলা মানেই গ্যালারিতে বিশেষ কিছু। মাঠে ‘সিআর সেভেন’ এবং গ্যালারিতে দেখা যায় তার পরিবারকে। পরশু তুরিনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগেরও ম্যাচেও দর্শক সারিতে দেখা গেলে রোনালদোর বান্ধবী ও বাগদত্তা জর্জিনা ও বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে রোনালদো যে কীর্তি গড়েছেন, তাতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন তার বান্ধবী-ছেলে। মাঠে পাঁচবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড় যখন আগ্রাসী উদ্যাপন করছিলেন, তখন জর্জিনা-ক্রিশ্চিয়ানোর চোখ ছলছল করছিল। সেই দৃশ্যই এখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে তখন বাকি আর মাত্র কয়েক মিনিট। দুই লেগ মিলিয়ে জুভেন্টাস-অ্যাটলেটিকো ম্যাচে তখন ২-২ সমতা। কে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে? এমন সময়ই পেনাল্টির বাঁশি জুভেন্টাসের পক্ষে। স্টেডিয়ামে তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। এর মধ্যেই পেনাল্টি থেকে গোল করলেন পর্তুগিজ তারকা। চ্যাম্পিয়নস লিগে তৃতীয় জুভেন্টাস ফুটবলার হিসেবে রোনালদোর হ্যাটট্রিক করেছেন তো বটেই, দলকে এনে দিয়েছেন শেষ আটের টিকিট। গ্যালারির দর্শকদের তুমুল উল্লাসের মধ্যেই টেলিভিশন ক্যামেরা ধরল জর্জিনার মুখের ওপর। তিনি কাঁদছেন। প্রিয়জন তাকে কাঁদিয়েছেন। কিন্তু এমন কান্না তো কাঁদতে চায় সবাই।

হ্যাটট্রিক তো অনেক আগেই সহজ বানিয়ে ফেলেছেন রোনালদো। কিন্তু পরশুরটার মাহাত্ম্য অনেক বেশি। প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের পর্বে যাওয়া মোটামুটি অনিশ্চিত করে ফেলেছিল জুভেন্টাস। ফিরতি লেগে অতিমানবীয় কিছুরই দরকার ছিল তাদের। সেই অতিমানবীয় ব্যাপারটিই করে দেখালেন রোনালদো।

এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর পর রোনালদোর ছোটবেলার একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জর্জিনা, ‘৩-০ গোলের জয়টি আদায় করে নেওয়া। আজকের (বুধবার) রাতের তিন গোল তোমার প্রাপ্য। তুমি যখন যে ক্লাবে খেল, ত্যাগের বিনিময়ে তুমি সাফল্য চাও। তুমি তোমার সতীর্থ, কোচ ও সমর্থকদের জন্য নায়কের মতো। ঈশ্বর জানেন, ঈশ্বর বিশ্বাস করেন ফুটবল বিশ্ব তোমার। আমরা তোমাকে ভালোবাসি’।

"