ক্রীড়া ডেস্ক
অলিম্পিক বাছাইপর্ব
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের নাটকীয় ড্র
কয়েক মাস আগেও মেয়েদের কল্যাণে সুবাতাস বইছিল বাংলাদেশের ফুটবলে। কিন্তু মাস কয়েক ঘুরতেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইপর্ব ও সিনিয়র অলিম্পিক বাছাইপর্ব দেখিয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলের আসল বাস্তবতা। আরো একটা বিষয় পরিষ্কার, অনূর্ধ্ব ১৫-১৬ পর্যায়ে বাংলাদেশ যেকোনো উপায়ে সাফল্য পেলেও একটু ওপরের দিকে উঠলেই বোঝা যায় সামগ্রিকভাবে কতটা পিছিয়ে আছে মেয়েরা।
বাস্তবতা বেরিয়ে এসেছে টোকিও অলিম্পিক বাছাই পর্বে। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫-০ গোলের হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৭-১ গোলে উড়ে যাওয়ায় নিশ্চিত হয় টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। কাল গ্রুপের শেষ ম্যাচটি সাবিনা খাতুনদের কাছে ছিল নিতান্তই সম্মান রক্ষার লড়াই। শেষ মুহূর্তে ড্র করে অন্তত হার এড়াতে পেরেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
কাল অবশ্য শেষটা একেবারে খারাপ হলো না নিজেদের খুঁজতে থাকা বাংলাদেশের। নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় হারের শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ১-১ গোলের নাটকীয় ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মেয়েরা। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ায় হার চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশকে। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল করে বাংলাদেশকে সম্মান নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ করে দেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন।
অথচ ম্যাচের শুরুতেই ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল নেপাল। ইয়াগুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে ১৭ মিনিটে নিরু থাপার গোলে এগিয়ে যায় নেপাল। কিন্তু এরপর আর গোলমুখ খুলতে পারেনি দলটি। জয়টা প্রায় হাতের মুঠোই চলে গিয়েছিল নেপালের মেয়েদের। যোগ করা সময়ের ৯৩ মিনিটে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। এই ড্র অলিম্পিক বাছাই পর্বে বাংলাদেশের লড়াইয়ের একমাত্র স্বীকৃতি।
"