শরীফুল রুকন, চট্টগ্রাম

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

ধবলধোলাইয়ের অপেক্ষা

সম্ভাব্য ফল তিনটি। বাংলাদেশের জয়, জিম্বাবুয়ের জয় কিংবা ড্র। সিরিজের শেষ ম্যাচে অপেক্ষা করছে কোনটি? অনিশ্চয়তার খেলা হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটে যেকোনোটাই ঘটতে পারে। তবে সম্ভাবনার নিক্তিতে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লাটাই বেশি ভারী। এমনটা হলে আরো একবার ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় পড়বে জিম্বাবুয়ে। অবশ্য এসব নিয়ে বাড়তি আকাক্সক্ষা-উচ্ছ্বাস নেই মাশরাফি বিন মর্তুজার।

কাল চট্টগ্রামে টাইগারদের টিম হোটেলে লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। যার পরতে ছিল বিশ্বকাপ ভাবনা, সম্ভাব্য স্কোয়াড নিয়ে চিন্তা এবং সতীর্থদের পারফরম্যান্স। ওপেনারদের রানে থাকা এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ইমরুল কায়েস আর লিটন দাসের শতক ছুঁতে না পারা নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি।

এসবকিছু পর্যালোচনার পর দল নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা আরো ভালো পারফর্ম করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ২৮০ থেকে ২৯০ রান হবে মনে করেছিলাম। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তাদের ২৫০ নিচে রাখা। জাস্ট আউটস্ট্যান্ডিং। পরে ওপেনিংয়ে এমন পার্টনারশিপ করা। হয়তো আইডল হতে পারত, দুইজনই ১০০ করত। কিন্তু যেটা সব সময় চাই সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু উন্নতি থাকাটা জরুরি।’ প্রায় চার সপ্তাহ আগে সমাপ্ত এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে বেশ ভালো খেলেও অল্পের জন্য শিরোপার স্বাদ পায়নি টাইগাররা। এ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এশিয়া কাপ থেকে এসেছি তিন-চার সপ্তাহ হচ্ছে। ওই রেশটা এখনো রয়েছে। এটা কিন্তু ম্যাটার করে। দলের আত্মবিশ্বাস এখন অনেক ভালো। এখন তৃতীয় ম্যাচেও সেটা অব্যাহত রাখতে করতে পারলে... সিরিজ তো জিতে গিয়েছি। যদি ৩-০ তে শেষ করতে পারি সেটা অবশ্যই আরো ভালো হবে।’

দীর্ঘদিন ধরেই ওপেনিং জুটির সমস্যায় ভুগছিল বাংলাদেশ দল। তামিম ইকবালের যোগ্য সঙ্গী হিসেবে তেমন কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন আপাতত চিন্তা কেটে গেছে। ফর্মে ফিরেছেন ইমরুল-লিটন। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ওপেনিংয়ে আমরা বেশকিছু দিন ধরে সংগ্রাম করছিলাম। তামিমকে ইনজুরিতে হারালাম। এখন এরা দুইজন যে পারফর্ম করছে এটা খুব ভালো। আশা করি তামিম ফিরে আসার পর সুস্থ প্রতিযোগিতাটা থাকবে।’

একজন বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজ অনেক আগে থেকে করেছিলেন বাংলাদেশের নির্বাচকেরা। কিন্তু অলরাউন্ডার যারা আছেন, তাদের বেশির ভাগই মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। কাল মাশরাফি জানালেন সাত নম্বর পজিশনে খেলানোর জন্য বোলিং অলরাউন্ডারকে তারা পেয়ে গেছেন তারা। মাশরাফি বলেছেন, ‘একটা বোলিং অলরাউন্ডারের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে তাকিয়ে ছিলাম। ইংল্যান্ডের দিকে তাকান.. অনেক ম্যাচে চারজন ফাস্ট বোলার প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাইফউদ্দিন যদি ব্যাটিংয়ে ফর্মে থাকে, আমাদের দলের জন্য এটা অনেক সুবিধা হবে। সে যদি ধারাবাহিকভাবে এভাবে পারফরম্যান্স করতে থাকে টিমের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া হবে। অন্যান্য দলে দেখবেন, একজন করে আছে। সাইফউদ্দিনকে অনেক দিন ধরে নির্বাচকরা নজরে রেখেছিল। এইচপিতে ভালো করেছে, লিগে করেছে, এখন এখানে করছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই স্বস্তির।’

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লিটন দাস ৮৩ রানে আর ইমরুল কায়েস ৯০ রানে উইকেট বিলিয়েছেন। এ নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল টাইগার অধিনায়ক কথায়, ‘একটু ধৈর্য ধরে খেললে সহজেই সেঞ্চুরি পেতে পারত। এমন না যে তারা খুব ভালো বলে আউট হয়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close