ক্রীড়া ডেস্ক
অবিশ্বাস্য রস টেলর
লক্ষ্যমাত্রা ৩৩৬ রানের। লক্ষ্যটা হিমালয়তুল্য হয়ে নিউজিল্যান্ড মাত্র দুই রানে দুই উইকেট হারানোর পর। তীব্র চাপের মুখে দাঁড়িয়ে কিউইদের অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন রস টেলর। ১৮১ রানের হারা না মানা ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে প্রায় একাই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলেন টেলর। ৫ উইকেটের দারুণ জয়ে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ফেরালেন সমতায় (২-২)। বৃথাই গেল জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের সেঞ্চুরি। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে সিরিজ নির্ণায়ক লড়াই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনশ’ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারে রস টেলর যখন ক্রিজে আসেন তখন দলের স্কোর দুই উইকেট দুই রান। দুই ওপেনার তখন ফিরেছেন শূন্য রানে। কলিন মুনরো স্বাদ পান গোল্ডেন ডাকের। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি মার্টিন গাপটিল।
কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা শুরুটা করেন টেলর। দ্রুত রান তোলা অধিনায়ককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বেন স্টোক্স। এরপরই চতুর্থ উইকেটে ম্যাচ জয়ী ১৮৭ রানের জুটিটা দাঁড় করান টেলর ও টম লাথাম। এই জুটিই দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। ৬৭ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৭১ রান করা লাথামকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টম কারান। দুটি করে ছক্কা-চারে ১২ বলে ২৩ রান করা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকেও বিদায় করেন তিনি। ততক্ষণে ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের অনুকূলে চলে এসেছে। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি ইংল্যান্ড।
সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পর ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নিতে গিয়ে ঊরুতে চোট পান টেলর। ইনিংসের শেষ এক-তৃতীয়াংশ তাকে প্রায় চোট নিয়েই খেলতে হয়েছে। সেই অবস্থাতেই খেলেছেন অসাধারণ সব শট। অদম্য টেলরকে থামাতে ইয়ন মরগানের কোনো চেষ্টাই কাজে আসেনি।
আগের সেরা অপরাজিত ১৩১ ছাড়িয়ে ম্যাচ সেরা টেলর এবার অপরাজিত থাকেন ১৮১ রানে। তার ১৯তম সেঞ্চুরি আসে ৯৮ বলে। পরের ৪৯ বলে অতিথিদের ওপর যেন তান্ডব চালান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ১৪৭ বলের ইনিংসে ১৭টি চারের পাশে ছক্কা ৬টি। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করা হেনরি নিকোলস অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে।
ইউনিভার্সিটি ওভালে কাল টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ রয়ের সঙ্গে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। দ্বিতীয় উইকেটে রুটের সঙ্গে যোগ করেন ১৯০ রান। তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি পাওয়া বেয়ারস্টো ১০৬ বলে ১৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় ফিরেন ১৩৮ রান করে। এক সময়ে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ২৬৭। পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৩১৩ পর্যন্ত যেতে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে অতিথিরা।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বাইরে দুই অঙ্কে যান কেবল আদিল রশিদ ও কারান। এক সময়ে অনেক বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগালেও শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় সাড়ে তিনশ রানের আগেই থেমে যায় ইংল্যান্ড। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৬ চার ও দুই ছক্কায় ১০১ বলে ১০২ রান করেন রুট। ওয়ানডেতে এটি তার একাদশ সেঞ্চুরি।
৫৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার ইশ সোধি। দুটি করে উইকেট নেন মুনরো ও টেন্ট্র বোল্ট।
"