ফারিন সুমাইয়া

  ২৩ মার্চ, ২০২৪

শিশুর চোখে স্বাধীনতা

স্বাধীনতা বাঙালি জাতির বড় অর্জন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মমতার ছাপ আর বিজয়ের উল্লাস সবকিছুই আছে এই একটি স্বাধীনতায়। লাখো বাঙালি যেমন পেয়েছে অনেক কিছু, তেমনি কালরাতের অন্ধকারে হারিয়েছে জাতির মেধাবী সন্তানদের। শিশু কিংবা নারী কেউ বাদ পড়েনি পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে। সময় গড়িয়েছে আর ঘটনাগুলো স্মৃতির পাতায় আবদ্ধ হচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আসছে পৃথিবীতে।

যাদের জন্য লাখো শহীদরা নিজের বুকের তাজা রক্তে লিখেছে বাংলাদেশের নাম। অতীতের সেই স্মৃতিগুলো তাই তাদের জানা প্রয়োজন সঠিকভাবে। বইপুস্তকে শুধু গৎবাঁধা লেখায় আটকে না রেখে গল্পে গল্পে তাদের জানানো প্রয়োজন তারা কীভাবে পেল স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অর্জনে তাদের পূর্বপুরুষদের কত কিছু হাসিমুখে বিলিয়ে দিতে হয়েছিল। কীভাবে পাকিস্তানি সেনাদের হারিয়েছিল মুক্তিকামী বীর বাঙালি। সেসব ইতিহাস তাদের জানা প্রয়োজন শৈশব থেকেই। এ ক্ষেত্রে বই পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তুলতে হবে সবার আগে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লেখা বই তাদের ছেলেবেলা থেকেই পড়ে শোনাতে হবে। ছুটির দিনগুলোতে তাদের চার দেয়ালে আবদ্ধ না রেখে নিয়ে যেতে পারেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঘুরে দেখাতে। এতে করে তারা সেসব সময়কাল এবং আবহ উপলব্ধি করতে পারবে। সেই সময়কার নাটক, গল্প, কবিতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ ঘটনা নিয়ে নির্মিত সিনেমা তাদের দেখাতে পারেন।

এতে করে তারা দেশ সম্পর্কে যেমন জানবে, তেমনি জানবে ইতিহাস সম্পর্কে। ছোটখাটো অনুষ্ঠান রাখতে পারেন পরিবারের সবাইকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা দিবসের দিনে। স্কুল, কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে শিশুকে যুক্ত হতে উৎসাহ দিন, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তাদের ছোট নাটক করতে প্রেরণা দিন। সময় পেলেই তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গল্প করুন। এতে শিশুর শৈশব থেকেই শিশুর দেশ এবং স্বাধীনতার বিষয়ে ধারণা পরিষ্কার হবে। পাঠ্যবইয়ের বাইয়ের জগতে তাদের পূর্বপুরুষ যারা আছেন যেমন নানা, দাদা তাদের সঙ্গে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করুন। এতে শিশু বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কবে এবং এর পেছনের ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা জন্মাবে।

এভাবেই এ প্রজন্মের শিশুরাও স্বাধীনতা, সেই সময়কাল নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারবে এবং তাদের প্রজন্মকেও জানাতে পারবে সেই রক্তক্ষয়ী স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার সোনালি ইতিহাস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close