নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ মে, ২০২৪

ফায়ার সার্ভিস বলছে ‘বুশ ফায়ার’

সুন্দরবনে অগ্নিদুর্ঘটনার হালনাগাদ সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিদুর্ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে ‘বুশ ফায়ার’ (দাবানল) বলে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়ায় অগ্নিনির্বাপণে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ছয়টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন-সংলগ্ন খাল থেকে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে নিয়োজিত জনবল : ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ও কর্মচারীসহ মোট ৫৫ জন। ভলান্টিয়ার প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশের সদস্যরা পুরো সময়ব্যাপী অগ্নিনির্বাপণে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিল।

সর্বশেষ সংক্ষিপ্ত মন্তব্য : এটি একটি বুশ ফায়ার। বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এখনো আগুন ছড়িয়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি প্রায় দুই বর্গ কিলোমিটার। এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান আছে। জীবজন্তু এবং ঘন বনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় না। অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও নেই। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সকল ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেওয়ার পর নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করা হচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা : পানির উৎস থেকে আগুনের দূরত্ব স্থানভেদে ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। চলাচলের রাস্তা দুর্গম। জেলা প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। আগামীকাল ভোর ৫টার ৩০ মিনিটে আবার অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close