নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ি ভাড়া হয়নি ২৮ হাজার হাজির

আর তিন সপ্তাহ পর বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তবে সৌদি আরবে হাজিদের থাকার জন্য এখনো বাড়ি ভাড়াই করা হয়নি। এমনকি বাড়ি ভাড়া করার জন্য হজ মিশন, অ্যাম্বাসি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তেমন কোনো সহযোগিতা মিলছে না বলেও অভিযোগ করেছেন হজ এজেন্সির অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হজ ব্যবস্থাপনা ২০২৪ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহাদাত হোসাইন অভিযোগ করেন, ২৮ হাজার হাজি মুজদালিফায় যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন। মুজদালিফায় হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে, যা ওয়াজিব। এটি হাজিদের পালন করতে হয়। অথচ ২৮ হাজার হাজি মুজদালিফায় যেতে পারবেন না। তারা শুধু মিনা ও আরাফাতে যেতে পারবেন। এ নিয়ে হজ মিশন ও মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। হাব দেখতে চায়, হজ মিশন হাজিদের সমস্যা সমাধান করবে।

এখন পর্যন্ত হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়াও করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এজেন্সির পক্ষ থেকে কাউকে ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। অন্যদিকে হাজিদের বাড়ি ভাড়া করার জন্য হজ মিশন কোনো সহযোগিতাও করছে না। বাড়ি ভাড়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে টাকা স্থানান্তরও সময়মতো করছে না। এতে হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজন কর্মকর্তা এজেন্সির পক্ষ থেকে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে এনে বাড়ি ভাড়ার সমস্যা সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, ওই কর্মকর্তা হয়তো জানেন না যে, সৌদি আরব গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে ওমরাহ ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে যারা অবস্থান করছেনম তাদেরও বের হয়ে আসতে হবে কয়েকদিনের মধ্যে।

এ সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার উদ্যোগ নিতে হবে মন্ত্রণালয়কে এমনটাই পরামর্শ হাব সভাপতির। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে- যাতে এজেন্সির পক্ষ থেকে ভিসার ব্যবস্থা করা হয়। হজ এজেন্সির সহযোগিতায় যেন এজেন্সির প্রতিনিধি হাজিদের বাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। এখনো ফ্লাইট সূচি ঘোষণা করা হয়নি। ফ্লাইট সূচির সঙ্গে বাড়ি ভাড়ার একটা সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র ৮৩ জনের টাকা সৌদি আরবে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ছিল মাত্র ৪১ জনের। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, টাকা যেতে সময় লাগে। এক দিনে ১৫ জনের বেশি টাকা পাঠানো যায় না। ব্যাংকের সমস্যা রয়েছে ইত্যাদি নানা অজুহাত দিচ্ছেন। এসব আমরা শুনতে চাই না। যারা নিবন্ধন করেছেন টাকা জমা দিয়েছেন তারা- যাতে ভালোভাবে হজ সম্পন্ন করতে পারেন সেই কাজ দেখতে চাই আমরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close