বরিশাল প্রতিনিধি

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

বরিশালে রহস্যময় ট্রিপল মার্ডার

পরকীয়া ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের বলে সন্দেহ

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাপুর ইউনিয়নের সলিয়াবাকপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একই রাতে রহস্যজনকভাবে তিনজন খুন হয়েছে। গত শনিবার ভোরে ওই বাড়ির কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আ. রবের বাসা থেকে তার বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম (৭৫), স্বরূপকাঠি থেকে বেড়াতে আসা ভগ্নিপতি সাবেক শিক্ষক সফিকুল আলম (৬৫) ও বাড়ির পুকুর থেকে খালাতো ভাই ইউসুফের (২২) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, হত্যার রাতে ওই ঘরে সলিয়াবাপুর গ্রামের মৃত নাজির আহম্মেদ হাওলাদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম, তার কুয়েত প্রবাসী ছেলে হাফেজ আ. রবের স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশু, দুই শিশু নাতনি, ভায়রা ছেলে ইউসুফ হোসেন, অপর ছেলে হারুনের মেয়ে চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী আছিয়া আক্তার ও বেড়াতে আসা মেয়ে জামাতা সফিকুল আলম অবস্থান করছিলেন। এর মধ্য থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী মিশু জানান, তার কক্ষের স্টিলের আলমিরার ড্রয়ার থেকে বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই তিনটি মোবাইলের মধ্যে একটি তার ও অপর দুটি হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া শাশুড়ি ও ননদ জামাতার। স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নেওয়ার ঘটনাটি হত্যাকান্ডকে ডাকাতি বলে প্রমাণের চেষ্টা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

কলেজছাত্রী অছিয়া আক্তার জানান, শনিবার ভোররাতে দরজা খুলে দিয়ে ঘাতকদের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে। তা না হলে কে খুলল বন্ধ দরজা। প্রশ্ন করেন তিনি। ট্রিপল মার্ডারের পেছনে পারিবারিক বিরোধ ও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে, খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম, বরিশালের অতিরিক্ত ডিআইজি এহেসানউল্লাহ্, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ. রকিব, বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ ঘটনাস্থলে যান। পরে বরিশাল থেকে র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডির কর্মকর্তারা এসে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার) জানান, মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশসহ র‌্যাব, পিবিআই ও সিআইডি সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি ও রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close