সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

এত নির্মমভাবে হত্যা!

কদমগাছের ডালে ঝুলে আছে গলাকাটা ছয় বছরের ছোট্ট শিশু তুহিনের নিথর দেহটি। নিষ্পাপ দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে দুটি কান। ছোট্ট শরীর থেকে গোপনাঙ্গও বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ঘাতকরা। নির্মমতার এখানেই শেষ নয়, হত্যার পর শিশুটির পেটে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে দুটি ধারালো ছুরি। হত্যা করার সব ধরনের পাশবিকতাকে হার মানিয়েছে ঘাতকরা। যেন নির্মম নির্যাতনে হত্যার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল তারা। তবে পুলিশের ধারণা এ হত্যাকা-ে শিশুটির পরিবারের কেউ না কেউ জড়িত থাকতে পারে।

নির্মম এই হত্যাকা-টি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন একই এলাকার বছির মিয়ার ছেলে।

তুহিনের স্বজনরা জানান, গত রোববার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশু তুহিন প্রকৃতির ডাকে উঠলে তার মা বাহিরে নিয়ে যান। এরপর তাকে এনে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন। রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখেন। এরপর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের গলা কাটা লাশ দেখতে পান।

দিরাই থানার এসআই তাহের জানান, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও প্যানিস কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ধারালো ছুরি। তবে কে বা কারা কী কারণে এ শিশুটিকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close