কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ২৫ আগস্ট, ২০১৯

সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ দাম নাগালের বাইরে

ভরা মৌসুমে সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। কক্সবাজার শহরের ফিশারিঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আর ঘাটে এখন কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ী, জেলে ও শ্রমিকরা। ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। কক্সবাজার এখন ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছে ভরপুর। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও দাম সাধারণের হাতের নাগালে আসেনি। তবে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মাঝে যেন সুদিন ফিরে এসেছে।

সরেজমিন কক্সবাজার শহরের ফিশারিঘাটে দেখা যায়, রাত পোহানোর বহু আগে থেকেই ব্যস্ত হয়ে ওঠে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফিশারিঘাটমুখী রাস্তাগুলো। কেটে অর্ধেক করা ড্রাম আর ঝুড়ি নিয়ে ছুটছে রিকশা-ভ্যান, পিকআপ আর ট্রাক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইলিশ পাঠানোর কাজ করছেন আড়তদাররা। ঘাটে ফিশিং বোট নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন লোক দ্রুত গিয়ে মাছ নামিয়ে ঘাটে নিয়ে আসে। শনিবার দুপুর ১টার দিকেও একই দৃশ্য দেখা যায় কক্সবাজার ফিশারিঘাটে। শহরের অন্যান্য আড়তদারদের ঘাটেও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

কক্সবাজারের ফিশারি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, গত জুলাই মাসের শেষের দিক থেকে সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। এরপর দুই দিন তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। আবার আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে।

স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেশি। প্রতিদিন প্রচুর মাছ দেশের বিভিন্ন শহরে পাঠানো হচ্ছে। আর একটি অংশ যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। সেখানে ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ আগেও বড় সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গত শুক্রবার কক্সবাজারে বড় সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি সাড়ে ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

কক্সবাজার শহরের বৃহৎ খুচরা মাছবাজার বড় বাজার, বাহারছড়া বাজার, উপজেলা বাজার, কানাইয়া বাজারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ সাড়ে ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম সাড়ে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি থেকে তদূর্ধ্ব ওজনের ইলিশ কোনো কোনো বাজারে দেড় হাজার, কোনো বাজারে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

কক্সবাজার মৎস্য আড়তে ফিশারিঘাটের আড়তদার জানান, কক্সবাজারের অভিজাত হোটেলগুলো বেশি পরিমাণে ইলিশ কিনে। স্থানীয় বাজারে ক্রেতা কম। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, জেলায় প্রায় ৫ হাজারের বেশি ফিশিংবোট রয়েছে। এর অধিকাংশই বঙ্গোপসাগরে গেছে। কক্সবাজার মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, সাগর উত্তাল থাকায় মৎস্য শিকার ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি, তারা পর্যাপ্ত মাছ নিয়ে নিরাপদে ফিরবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close