প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১০ এপ্রিল, ২০১৯

বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু

রাজধানীতে ৮৫ কিমি. বেগে ঝড়

টানা কয়েক দিন ধরে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে রাজধানীবাসী। গত সোমবার রাতের ঝড়বৃষ্টির পর গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ। তবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে বেলা ১১টার দিকে। এরপর রোদ উঠলেও সন্ধ্যা নামার আগেই কালো হয়ে যায় রাজধানীর আকাশ। তুমুল বাতাসের সঙ্গে নামে মুষলধারে শিলাবৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যার ওই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার। এ ঝরে রাজধানীতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও সারা দেশে দুই দিনের বৃষ্টিতে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলে মারা গেছেন পাঁচজন। এছাড়া জমিতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন নাটোরের এক কৃষক। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

সিলেট অঞ্চলে ৫ জনের মৃত্যু

সিলেট ও সুনামগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুরে বজ্রপাতে ৩ জন ও সুনামগঞ্জে দুজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তেরাকুড়ি এলাকায় বজ্রপাতে নিহতরা হলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তেরাকুড়ি এলাকার জিতু মিয়া (৩৮), গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা এলাকার রাজন মিয়া (২৮) ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪২)। বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মুহাম্মদ বদরুজ্জামান।

এদিকে সোমবার সুনামগঞ্জ সদর ও ধর্মপাশা উপজেলায় বজ্রপাতে পৃথক দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বেগুন খেতে কাজ করার সময় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আবদুল আউয়াল (৭৫) নামের এক কৃষক ও হাওরে ধান কাটতে গিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার ফজল মিয়া (৩২) নামে অপর এক কৃষকের মৃত্যু হয়। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠরই ইউনিয়নের কলাইয়া গ্রামে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষক আবদুল আউয়াল গ্রামের পাশে নিজের বেগুন খেতে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতের সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে ফজল মিয়া (৩২) বজ্রপাতে নিহত হন। তিনি জয়শ্রী ইউনিয়নের সোনারতাল হাওরে ধান কাটতে গিয়েছিলেন।

অন্যদিকে নাটোরের নলডাঙা উপজেলায় বজ্রপাতে শাহিন হোসেন (২২) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন স্থানীয় মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।

নলডাঙা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাহেব আলী জানান, বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে ফসলি জমিতে সার দিচ্ছিলেন শাহিন। হঠাৎ তার ওপর বজ্রপাত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close