reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ এপ্রিল, ২০২৪

জাল টাকা রোধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে

যেকোনো বিশেষ দিবস কেন্দ্র করে জাল টাকা কারবারিরা বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সারা দেশে এই জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তারা। সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশের মার্কেটগুলোয় বেচাকেনা জমে উঠেছে। বেচাকেনা ঘিরে লেনদেন হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জালিয়াত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জাল টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর প্রতিদিনই জাল নোট ধরা পড়ছে। কখনো ক্রেতার সামনে আবার কখনো ব্যাংকে যাওয়ার পর জানা যাচ্ছে এসব টাকা জাল। বেচাকেনার চাপে বা তাড়াহুড়োর মধ্যে চক্রের সদস্যরা জাল টাকা দিয়ে দিচ্ছে। ফলে অনেক সময় এসব জাল টাকা ধরার উপায় থাকছে না। ব্যাংকে নিয়ে যাওয়ার পর জানা যাচ্ছে এসব টাকা জাল। এ নিয়ে আতঙ্কে থাকেন ব্যবসায়ীরা। জাল টাকা কারবারিদের রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালায়। বিভিন্ন সময় জাল টাকা কারবারিদের গ্রেপ্তার ও বিপুল পরিমাণে জাল টাকা ও জালনোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, সম্প্রতি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি দুর্গম এলাকায় জাল টাকার কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার করা হয় তিন কারবারিকে। এ সময় ২০ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। অন্যদিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোন। অভিযানে জাল টাকার কারবারি চক্রের মূলহোতা মোহাম্মদ ফয়েজ আহমেদ রাসেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৮৩ হাজার টাকার জাল নোট ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পুলিশ বলছে, আগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জাল টাকা তৈরি করে ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিত। বর্তমানে অধিকাংশ কারবারি তাদের কৌশল পাল্টে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোয় আস্তানা গেড়ে জাল টাকা তৈরি করছে। এসব কারখানা দুর্গম এলাকায় হওয়ায় অভিযান চালিয়েও খুব একটা সফলতা পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রতিদিনের সংবাদে গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর জোনাকি, চাঁদনী চক, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট ও ঢাকা নিউমার্কেটের অধিকাংশ দোকানে প্রতিদিনই জাল টাকা ধরা পড়ছে। এতে লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। চক্রটি আসল টাকার মধ্যে জালা টাকা এমনভাবে ঢুকিয়ে দেয়, যা স্বাভাবিকভাবে বোঝার উপায় থাকে না। খুবই সূক্ষ্মভাবে জাল টাকার কারবার করে তারা। দোকানে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে চক্রের সদস্যরা। এরপর একাধিক সদস্য দোকানের স্টাফদের নানাভাবে ব্যস্ত রেখে জাল টাকা দিয়ে দেয়। ফলে ধরার সুযোগ থাকে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্ল্যাটফরমকে ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধী চক্র যেমন সক্রিয় হচ্ছে, তেমনি জাল টাকার কারবারিরাও বসে নেই। জাল টাকার কারবারিরা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তারা তাদের কারবার চালাচ্ছে।

জাল নোট শনাক্ত করতে হলে সবাইকে সচেতন থাকবে হবে। একই সঙ্গে আসল নোটের বৈশিষ্ট্যগুলোও আমাদের জানা জরুরি। এ ছাড়া জাল নোট বন্ধে আইনশৃঙ্খলা তৎপরতা অর্থাৎ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close