reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ এপ্রিল, ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলতে হবে

দেশে যখন থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন থেকে রাষ্ট্রের নানা আনুষ্ঠানিকতায় বক্তব্য দেওয়ার সময় দেশবাসীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা-সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। এমনকি সরকারের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার দিকগুলোও জাতির কাছে তুলে ধরেছেন। তার অভিভাবকসুলভ এই আচরণে দেশবাসী মুগ্ধ। বলাবাহুল্য, মানুষকে আশ্বস্ত করার বিষয়টি এবং রোগকে ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে সংগ্রাম করার প্রেরণাই তার ভাষণ থেকে দেশবাসীর মূল প্রাপ্তি। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী চলমান দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশবাসীকে ভরসা দিয়েছিলেন। তেমনি আবার গত মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা চলমান সংকট সম্পর্কে অবহিত এবং দেশবাসীকে সুরক্ষার জন্য সর্বতোভাবে সক্রিয় রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী চলমান সংকটকে সব দিক থেকেই মোকাবিলা করতে চাইছেন। সরকারের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা মেনে চলা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। সাধারণ ছুটির সময় সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ‘প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। বাইরে বের হলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন। যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা ১৪ দিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন। যেখানে-সেখানে কফ-থুতু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ঘরে বসে প্রার্থনা করুন। পরিবার, পাড়াপ্রতিবেশী এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে এসব পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।’ এর প্রতিটি বাক্য বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে, করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস অবশ্য প্রাণসংহারী হয়ে ওঠেছে। পরিবারের সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দেওয়া এবং আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেশবাসী সর্বদা স্মরণে রাখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। বিশ্বের উন্নত সব দেশ যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, সে সময়ে আতঙ্কিত না হওয়া এবং ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি প্রধান বিবেচ্য। সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষকে এই প্রাণঘাতী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা, এমন অঙ্গীকার সরকারপ্রধানের মুখ থেকে শুনতে পাওয়া আবশ্যক ছিল।

তারপরও কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত পরামর্শ মানুষকে স্বস্তি দেবে। ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। আমাদের যত দূর সম্ভব মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলতে হবেÑ এমন বার্তাই এখন জরুরি, যা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্যোগের সময়ই মনুষ্যত্বের পরীক্ষা হয়। এখনই সময় পরস্পরকে সহায়তা করার, মানবতা প্রদর্শনের। আর সময়ের বিবেচনায় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close