রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিশ্লেষণ

নিরাপত্তার প্রশ্নে হুমকি রাশিয়া

ইউক্রেনের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির প্রতিবাদে রাশিয়ান ভাষাভাষী অধ্যুষিত দেশটির দক্ষিণের ক্রিমিয়া অঞ্চলে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রুশ প্রতীক হিসেবে লেনিনের মূর্তিকে বাঁচাতে পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভে দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনিয়ানরা। অন্যদিকে কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স চত্বর এখনো ত্যাগ করেনি ক্ষমতাচ্যুত ইয়ানুকোভিচবিরোধীরা। এ অবস্থায় রাশিয়া প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত কৃষিশিল্পে এগিয়ে থাকা ইউক্রেন। আন্দোলন চলার সময় রুশবিরোধিতায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা হয়েছে লেনিনের মূর্তি। পালাবদলের পরে সেই লেনিন মূর্তিকেই প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করছেন রুশপন্থিরা। পূর্ব ইউক্রেন বরাবরই রাশিয়াঘেঁষা ইয়ানুকোভিচের দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখানকার শহর খারকিভে লেনিন মূর্তি বাঁচাতে পাহারা শুরু করেছেন বিদ্রোহে শামিল হওয়া বহু মানুষই। খারকিভে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নপন্থি আর রুশপন্থিদের মারপিটও চলছে। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, সরকারি ভবনগুলোয় বিদ্রোহীদের নো এন্ট্রি। সব মিলিয়ে স্পষ্ট, ইউক্রেনের ভেতরে-বাইরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নপন্থিদের সাধ সহজে পূরণ হওয়ার নয়। এরই মধ্যে ইউক্রেনকে অর্থ, সহায়তা ও সম্ভব হলে সদস্যপদ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশটি রুশপন্থি ও রুশবিরোধী অংশে বিভক্ত হয়ে পড়তে পারে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা আশঙ্কা করছেন।

এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নতুন অন্তর্র্বর্তী সরকার। ইউক্রেনের নতুন এ সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে এ সরকার। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, কিয়েভে বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করেছে। অস্ত্র ছাড়ার আহ্বান উপেক্ষা করে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, যা একটি যুদ্ধের সূচনা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেংকু। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এই বলে সতর্ক করেছেন, এর ফলে বিশ্বব্যবস্থায় নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। ২০১৪ সালে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ভূখ- ক্রিমিয়া দখলে নেওয়ার পর থেকেই উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সংকট অব্যাহত থাকাবস্থায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যবর্তী নৌরুট কের্চ স্ট্রেইটে ইউক্রেনের দুটি গানবোট ও টাগবোটে গোলাবর্ষণ করে এবং একপর্যায়ে ওই তিনটি বোট ২৩ নাবিকসহ আটক করে রাশিয়ার বন্দরে নিয়ে যায়। ২৫ নভেম্বর ইউক্রেনের ওই বোটগুলো কৃষ্ণ সাগরের ওডিসি বন্দর থেকে আজোভ সাগরের মারিউপোলের উদ্দেশে যাত্রা করে কের্চ স্ট্রেইট অতিক্রমকালে রাশিয়ার কোস্ট গার্ড দ্বারা আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। কার্চ স্ট্রেইট হলো রাশিয়ার মূল ভূখ- ও ক্রিমিয়ার মধ্যে নৌ-চলাচলের মাধ্যম বা নৌরুট। এটি হলো কৃষ্ণ সাগর ও আজোভ সাগরের সঙ্গে সংযোগকারী নৌরুট।

২০০৩ সালে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী কার্চও আজোভ সাগরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থাৎ ওই দুটি রাষ্ট্রেই সমান অংশীদারিত্ব স্বীকৃত হওয়ায় উভয় রাষ্ট্রেরই নৌ-চলাচলের অবাধ অধিকার রয়েছে। অথচ রাশিয়া ইউক্রেনের ওই অধিকারের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করছে, সে দেশের জাহাজগুলোর অবাধ যাতায়াতে বাধা দিয়ে রাশিয়া যেমন ২০০৩ সালের মস্কো-কিয়েভ চুক্তির বরখেলাফ করেছে, তেমনি দেশটি আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন করেছে। ইউক্রেনের জাহাজগুলোয় রাশিয়ার আক্রমণ ও বাধাদানের বিষয়টি ফ্রিডম অব মেরিটাইম ট্রাফিক এবং জাতিসংঘের ল অব দ্য সি কনভেনশনের আর্টিকেল ৩৮ ও ৪৪-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৭৪ সালের ১৪ ডিসেম্বরের ৩৩১৪ নম্বর প্রস্তাবের মর্ম অনুযায়ী ইউক্রেনের জাহাজে রাশিয়ার আক্রমণ একটি আগ্রাসন বলে দাবি করছে ইউক্রেন। কারণ, ওই প্রস্তাব অনুযায়ী কোনো একটি দেশের আর্মস ফোর্সেস, বা ন্যাভাল ফোর্সেস যদি অন্য দেশের আর্মস ফোর্স, নেভাল ফোর্স ইত্যাদির ওপর আক্রমণ করে তবে আক্রমণকারী দেশটি আগ্রাসী শক্তি হিসেবে বা আগ্রাসনকারী বলে গণ্য হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের জাহাজগুলো অবৈধভাবে কোনোরূপ পূর্ব অনুমতি ছাড়াই রাশিয়ার জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) মতে, কিয়েভ জাতিসংঘ কনভেনশনের সমুদ্র আইনের আর্টিকেল ১৯ ও ২১-এর বিধি ভঙ্গ করেছে। ওইসব আর্টিকেল অনুযায়ী প্রত্যেকটি দেশ তার নিজ দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতের অধিকার লাভ করেছে।

বিশ্ববাসী ও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত এবং কোনো কোনো রাষ্ট্র ইউক্রেনের জাহাজগুলোয় আক্রমণ বা জাহাজগুলো আটক করে রাশিয়ার বন্দরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাশিয়াকে দোষারোপ করে চলেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন, ইউক্রেনের প্রতি বৈরী আচরণের প্রতিবাদে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার এই আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা নতুন কোনো বিষয় নয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেন স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার উদ্যোগ নিলে রাশিয়া তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। উভয় দেশের মধ্যে শত্রুতার শুরু মূলত এখান থেকেই। আর ২০১৪ সালে বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। নিজেদের ভূখ- দাবি করে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলটি দখল করে নিয়ে এটিকে রাশিয়ার ভূখ- হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ইউক্রেন একটি দুর্বল রাষ্ট্র বিধায় হারানো ভূখ- উদ্ধার করতে না পারলেও উভয় দেশের বৈরিতা স্থায়ী রূপ নেয়। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় এবং আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলো কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়ার ওপর বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং সে নিষেধাজ্ঞা এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু রাশিয়াকে তার অবস্থান থেকে টলানো যায়নি। রাশিয়া নানাভাবে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে ২০১৪ সালের পর থেকে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের শক্তিশালী অস্ত্রসামগ্রী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়ে চলেছে এবং ফলে পূর্বাঞ্চলে সর্বদাই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার ভূখ-ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে। ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কের্চ স্ট্রেইট। ফলে ক্রিমিয়ার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার দখলদারিত্ব বজায়সহ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা দুষ্কর ছিল। তাই দেশটি কের্চ স্ট্রেইটের ওপর রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগ স্থাপনকারী ১২ মাইল দীর্ঘ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলে ইউক্রেন তাতে আপত্তি জানালেও রাশিয়া সেতুটি নির্মাণ করে এবং বিগত মে মাসে প্রেসিডেন্ট পুতিন সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এ সেতুটি নির্মাণের ফলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলোকে রাশিয়া সহজেই সমরাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারবে, এটিই ইউক্রেনের জন্য বড় ভয়। ফলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, কের্চ স্ট্রেইট হলো ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র নৌরুট। ২০০৩ সালে উভয় রাষ্ট্রের চুক্তির ফলে এই স্ট্রেইট দিয়ে অবাধে চলাচল করার সুযোগ পেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু সম্প্রতি স্ট্রেইটটির ওপর একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের সব ধরনের জাহাজ চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনের বাণিজ্য ও অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়েছে। একইভাবে রাশিয়া কের্চ স্ট্রেইট ও আজোভ সাগরে সামরিক জাহাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছে। রাশিয়া প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ইউক্রেনগামী বা বহির্গামী জাহাজগুলোয় তল্লাশি চালাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুযায়ী সমুদ্র পারের রাষ্ট্রগুলোর সমুদ্রে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত জলসীমায় সীমান্ত স্বীকৃত। অর্থাৎ ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্রে সমদ্র পারের একটি রাষ্ট্রের জলসীমার সার্বভৌমত্ব স্বীকৃত আন্তর্জাতিক আইনে। রাশিয়ার অভিযোগ আন্তর্জাতিক আইনের বিধি উপেক্ষা করে ইউক্রেনিয়ান জাহাজগুলো ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করেছিল এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই রাশিয়ান ট্রুপস ওই জাহাজগুলো লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে এবং জাহাজগুলোকে আটক করে নিয়ে যায়। দেশ দুটি পরস্পরকে দোষারূপ করে চলেছে। তবে সার্বিক বিষয়টি কিন্তু দোষারূপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এ ঘটনা বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক পরিম-লে। অন্যদিকে, দেশ দুটির মধ্যে এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থাৎ ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এমন উত্তেজনাপূর্ণ দ্বন্দ্বে জড়ালো রাশিয়া ও ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পেরোশেংকু তার দেশে জরুরি অবস্থা এবং সামরিক শাসন জারি করেছেন এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ যুদ্ধাবস্থায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এর মানে এই নয়, যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ও সামরিক আইন জারি করা এবং সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধাবস্থা প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখার বিষয়গুলোকে মারাত্মক উত্তেজক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন পুতিন। রাশিয়া এটিকে যুদ্ধের হুমকি বলেই মনে করছে এবং হুমকি মোকাবিলায় রাশিয়াও প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ নিট ফলাফলটা হলো রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, যা পুরো ইউরোপ এবং এমনকি, বিশ্বব্যবস্থার নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

লেখক : বিশ্লেষক, গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close