ডিআইইউর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের ব্যবসা প্রকল্প গ্রিন শেডের যাত্রা শুরু
বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের (বিভিসিএল) অর্থায়নে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম ছাদবাগান-নির্ভর ব্যবসা প্রকল্প ‘গ্রিন শেড’। ১ নভেম্বর বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্কুয়েট হলে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফিতা ও কেক কেটে গ্রিন শেডের শুভযাত্রা ঘোষণা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান।
এছাড়া গ্রিন শেডের তিন নির্বাহী ইকবাল হোসেন শিমুল, মাইদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মাহদীর হাতে ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক পুঁজি হিসেবে পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিভিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. গোলাম মনোয়ার কামাল। অনুষ্ঠানে বিভিসিএল ও গ্রিন শেডের মধ্যে একটি চুক্তিপত্রও স্বাক্ষরিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, এইচআরডিআইর ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ এ সোবহানী, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শিবলী শাহরিয়ার, বিভিসিএলের সমন্বয়ক মো. রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মো. সবুর খান বলেন, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের লক্ষ্য শুধু শিক্ষার্থীদের ¯œাতক ডিগ্রি প্রদান করা নয়, বরং তাদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবেও গড়ে তোলা। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি ব্যবসায় প্রকল্প শুরু করল, যার নাম ‘গ্রিন শেড’। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই উদ্যোক্তারা এক সময় হাজার হাজার তরুণকে চাকরি প্রদান করবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মো. সবুর খান বলেন, যেকোনো ব্যবসার শুরুতে অনেক বাধাবিপত্তি আসে। এসব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর সততার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। তাহলেই উদ্যোক্তা হিসেবে কাক্সিক্ষত সফলতা আসবে।
বিভিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. গোলাম মনোয়ার কামাল বলেন, ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক উদ্যোক্তার হাতে পর্যাপ্ত পুঁজি থাকে না। তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা এবং উদ্যোগকে ব্যবসায়িকভাবে দাঁড় করানো পর্যন্ত বিভিন্নভাবে দেখভাল করে ভ্যাঞ্চার ক্যাপিটাল। ‘গ্রিন শেড’ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটি উদ্যোগ এবং এ উদ্যোগকে সফল করতে সব ধরনের সহায়তা করবে বিভিসিএল। এ সময় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন উদ্যোগ ও চমৎকার আইডিয়া নিয়ে বিভিসিএলের কাছে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
গ্রিন শেডের তিনজন নির্বাহী ইকবাল হোসেন শিমুল, মাইদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মাহদী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, গ্রিন শেড একটি ছাদবাগান প্রকল্প। বাংলাদেশের নগরগুলোকে পরিবশবান্ধব সবুজ নগরে পরিণত করতে কাজ করে যেতে চায় গ্রিন শেড। শহরের ভবনগুলোর ছাদে সবুজ বাগান তৈরি করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে গ্রিন শেড। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"