প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা ও কুমিল্লা

হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

হত্যা-ধর্ষণ মামলায় চুয়াডাঙ্গা ও কুমিল্লায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবারের এই রায়ে আসামিদের অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

চুয়াডাঙ্গা : আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার এক দম্পতিকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরেক আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী জোড়া খুনের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের মো. বজলুর রহমানের ছেলে মো. সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের মো. পিন্টু রহমানের ছেলে মো. রাজীব হোসেন (২৭) ও মো. মাসুদ আলীর ছেলে মো. বিদ্যুৎ আলী (২৫)। এ ছাড়া দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেন আসাননগর গ্রামের মো. তাহাজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাকিল হোসেন (২৫)।

২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) হত্যা করা হয়। পরদিন নিহত দম্পতির একমাত্র সন্তান ডালিয়ারা পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলাকালে দুর্বৃত্তরা নজির মিয়া ও ফরিদা খাতুনকে ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুন করে। নিহত দম্পতির ব্যবহৃত মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া অলংকার চুরির অভিযোগে একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পি (২১) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণ দিয়ে অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ওই ছাত্রী তার নিজ বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহটি পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেন। পরদিন ওই শিশুর মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close