বরগুনা প্রতিনিধি

  ১০ মে, ২০২৪

বরগুনা আদালতে মামলা

২৫ লাখ টাকা নিয়েও কাজ দেয়নি এলজিইডি প্রকৌশলী 

ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ না দেওয়ার অভিযোগে বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ইবাদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. শহিদুল হক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে , বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক প্রশস্থকরণ ও শক্তিশালীকরণ শীর্ষক কাজের টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইবাদ কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সে টেন্ডারে অংশ নেওয়ার মতো পয়েন্ট ছিল না। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক ঠিকাদার শহিদুল হককে রাজশাহীর মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে এলজিইডির তিনটি কাজের টেন্ডারের পরামর্শ দেন মামলার আসামি মনিরুজ্জামান। টেন্ডারের তিনটি কাজ পাইয়ে দিতে, কাজের অনুমোদন ও ওয়ার্ক অর্ডার এবং বিভিন্ন খরচের কথা বলে ২৫ লাখ টাকা দাবি করে ওই প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।

পরবর্তীতে কাজ পাওয়ার আশায় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানকে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি দাবি করা টাকা দেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার শহিদুল হক। মৌখিক চুক্তিমতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ৩টি কাজেরই টেন্ডার পায় রাজশাহীর মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে মামলার বাদীর দাবি মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের ৩টি কাজ তাকে না দিয়ে প্রতারণা করে মামলার আসামি মনিরুজ্জামান বেশি টাকা নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে কাজ দিয়ে দেয়। ঠিকাদার শহিদুল হক তার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে মনিরুজ্জামান টাকা দিতে অস্বীকার করেন।

এর আগে মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার শহিদুল হক। ইতিপূর্বে মামলার বাদী শহিদুল মেসার্স বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কাজ করেছেন এবং বর্তমানেও কাজ চলমান আছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন।

বাদীর আইনজীবী বিমান কান্তিগুহ জানান, বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনার সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী এম আতিক উল্লাহকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির)। এর পূর্বে আমতলীতে ভৌতিক প্রকল্প গ্রহণ, হিসাবরক্ষক হুমায়ুন কবিরসহ কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল, বরগুনা সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও ঠিকাদারের মধ্যে ঘুষ নিয়ে মারামারির ভিডিও ভাইরাল ।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বরগুনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close