চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১০ প্রার্থী
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩২ প্রার্থীর ১০ জন জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পাওয়ায় জামানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না তারা। জামানত হারানো ১০ প্রার্থী গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার। তবে নাচোল উপজেলর সব প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ভোট পেয়ে জামানত রক্ষা করেছেন।
শুক্রবার (১০ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশ নেওয়া ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী, দুজন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
তারা হলেন-গোমস্তাপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসা. মাহফুজা খাতুন, মোসা. হালিমা খাতুন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মু. নজরুল ইসলাম, মো. মাসুদ পারভেজ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসা. জোহনা খাতুন, মোসা. শামীমা বেগম ও মোসা. শিরিন আকতার। অন্যদিকে ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মহা. শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবর আলী ও মোহা. আব্দুল গাফফার আলীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
নির্বাচন শেষে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভোটের রেকর্ড হয়েছে গোমস্তাপুরে। এ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ হোসেন তিন উপজেলার প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তিনি পান ৪০ হাজার ৬২০ ভোট। একই উপজেলায় মোসা. মাহফুজা খাতুন পেয়েছেন সর্বনিম্ন ভোট। তিনি পেয়েছেন ১৩৬৬ ভোট।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনী বিধির নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় গোমস্তাপুর উপজেলার ৭ ও ভোলাহাট উপজেলার ৩ মোট ১০ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। অন্যদিকে নাচোল উপজেলার কোন প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে না।
পিডিএস/আরডি