বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ২১ মার্চ, ২০২৪

সুন্দরবনে এবার শুরু গাছ গণনা

বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষিত বনভূমি সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও সংখ্যা জানতে শুরু হয়েছে জরিপ কাজ। বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৬ বর্গকিলোমটিার স্থল ভাগে কত প্রজাতির ও কী পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া জরিপ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবেন বনরক্ষীরা। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সুন্দরবন বিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, ১৯০৩ সালে গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিল। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্য কমে দাঁড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। ১৯৯৭ সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিল। এ অবস্থা থেকে ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪টিতে। এর মধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ন, ১২ প্রজাতির অর্কিড, ৩ প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাস ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে। বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সমগ্র সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের স্থলভাগে কত প্রজাতির ও কী পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে গাছ জরিপের কাজ। তিনি আরো বলেন, বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে বনকর্মীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই গণনার কাজ শেষ করবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close