কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
পৌষসংক্রান্তিতে মাছের মেলা
পৌষ সংক্রান্তি উৎসব উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বসেছে মাছের মেলা। সকাল ১০টা থেকে কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার, ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর ও শহীদনগর বাজারে বসা মাছের মেলায় বিভিন্ন জাতের বড় আকারের মাছ সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার এই মেলাগুলো বসে।
গতকাল দুপুরে শমশেরনগর বাজারে মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাছের দোকানে বড় আকারের মাছ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেলায় উঠেছে বোয়াল, বাগাড়, চিতল, রুই, কাতলাসহ সব ধরনের মাছ। ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে মেলায়। সহজে হাট-বাজারে পাওয়া যায় না এমন মাছও সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মেলায় মাছের বেশ চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন মাছ বিক্রেতারা।
মুন্সিবাজারের মাছ বিক্রেতা উস্তার মিয়া জানান, তিনি ২৭ কেজি ওজনের বাগাড় মাছ নিয়ে বাজারে বসেছেন। ভানুগাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা আরমান মিয়া এবারের মেলায় ১৬ কেজি ওজনের বোয়াল ও ২০ কেজি ওজনের বাউশ (রুই জাতীয় মাছ) মাছ নিয়ে বসেছেন। তিনি বোয়াল মাছটির দাম হাঁকছেন ১৫ হাজার টাকা। ক্রেতারা ওই মাছ ১০ হাজার টাকা বললেও তিনি মাছটি বিক্রি করেননি। বাউশ মাছের দাম হাঁকছেন ১০ হাজার টাকা।
মাছ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া জানান ২২ কেজি ওজনের কাতল মাছের দাম ৪৫ হাজার টাকা হাঁকছেন। মাছটি ২৫ হাজার টাকা বলার পরও তিনি বিক্রি করেননি।
ক্রেতারা জানান, মেলায় নানা জাতের বড় আকারের মাছ উঠলেও দাম বেশ চড়া। বিক্রেতাদের সঙ্গে দরাদরি করে মাছ কিনে নিতে হয়। মাছ বিক্রতারা বলেন, দাম বড় কথা নয়, মূলত ক্রেতাদের আকর্ষিত করে মেলায় বড় আকারের মাছ সরবরাহ করা হয়। বেশ চড়া দাম বলা হলেও ক্রেতারা দরাদরি করে এক পর্যায়ে একটি-দুটি করে মাছ কিনে নিচ্ছেন। এছাড়া একটি বড় মাছ একাধিক ক্রেতা মিলে কিনছেন। পরে কাটিয়ে তা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।
"