আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ মে, ২০১৯

প্রথম কলাম

যে দেশে স্কুলে যাওয়া বিপদ!

স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষের এক পাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার এবং ডেস্ক। শ্রেণিকক্ষের ব্ল্যাকবোর্ডে তারিখ লেখা আছে ১৫

ডিসেম্বর ২০১৮। স্কুলটিতে এরপর আর ক্লাস হয়নি। বুরকিনা ফাসোর উত্তরে ফোবে শহর থেকে অল্প দূরত্বে এই স্কুলের অবস্থান।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্যামুয়েল সোয়াদোগো বিবিসিকে বলেছেন, এই এলাকায় একদল অস্ত্রধারীর হামলার কারণে ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা অনেক স্কুল পুড়িয়ে ফেলেছে। শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলার ঘটনার পর স্কুলের বেশির ভাগ শিক্ষক এবং কর্মীরা ভয়ে পালিয়েছেন। যখন একজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়, তখন কেউ কিছুই করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে হবে।

বুরকিনা ফাসোর উত্তর, সাহেল এবং পূর্বÑ এই তিনটি অঞ্চলে ২ হাজার ৮৬৯টি স্কুলের মধ্যে ১ হাজার ১১১টি স্কুল বন্ধ হয়েছে গত কয়েক মাসে। দেশটির উত্তরের এই অঞ্চলগুলো মালি এবং নাইজার সীমান্তের কাছে। আর এই সীমান্তে জিহাদি জঙ্গিরা তৎপরতা চালাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। জঙ্গিদের হামলার কারণে সেখানে একের পর এক স্কুল বন্ধ হয়ে দেড় লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জঙ্গি হামলার ভয়াবহ পরিবেশ দেখে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠানোই বিপজ্জনক মনে করছেন এখন। একটি স্কুলের একজন শিক্ষক বলেছেন, বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীদের আসা যে বন্ধ হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ বলেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিশুদের স্কুল যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে জঙ্গিরা শিশুদেরই নিয়োগের চেষ্টা করবে। বুরকিনা ফাসোর সরকার বলেছে, নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close