ভোলা প্রতিনিধি

  ২০ জানুয়ারি, ২০১৯

নারী ও শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা সন্দেহের তীর স্বামীর দিকে

ভোলার লালমোহনে এক ঘরে আগুন দিয়ে এক নারী ও শিশুসহ দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কে জড়িত তার সঠিক তথ্য জানা নেই নিহতদের পরিবারের। তবে প্রতিবেশী ও পুলিশের সন্দেহ, এ নির্মম ঘটনার জন্য পুড়ে মরা নারী সুরমার স্বামী রফিক জড়িত এবং এ কাজে তার হাত রয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে চরভুতা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

পুড়ে মারা যাওয়ারা হলেন, সুরমা (২৫) ও তার বোনের মেয়ে খাদিজা (৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অংকুরা নামে আরো এক নারী। তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত সুমরা বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা গ্রামের রফিকের স্ত্রী ও খাজিদা চরভুতা গ্রামের রফিজলের মেয়ে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে অংকুরা বেগম তার ছোট মেয়ে খাদিজা ও ছোট বোন সরমা ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে আগুন দিয়ে পুড়ে মারল এক গৃহবধূকে। এ সময় আগনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সুরমা মারা যান এবং আহত হন দুইজন। ঘরের লোকজনের ডাকচিৎকার শুনতে পেরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বেলা ১১টায় শিশু কাদিজা মারা যায়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আবুল কালাম খাদিজার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে হাসপাতালে আহত অংকুরার অবস্থা শঙ্কাজনক, তার মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে গেছে। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ নিহতের স্বামী রফিক এ আগুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সুরমার সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল বলে পরিবারের লোকজন জানান। সে কারণেই সে ঘরে আগুন লাগিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের কয়েকটি টিম দুর্বৃত্তদের ধরতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

নিহত সুরমার মেঝ বোন শাহিনুর ও ভাই মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সুরমার বাবার বাড়ি লালমোহন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের প-িতবাড়ি। সুরমার ছয় মাস আগে বোরহানউদ্দিনের দেউলা এলাকার রফিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী রফিকের সঙ্গে মিলমিশ হচ্ছিল না। এই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এ নিয়ে বিচার সালিশও হয়। ১০ দিন আগে সুরমাকে রেখে তার স্বামী চলে যায়। তখন সুমরা বড় বোন আংকুরার বাড়িতে উঠেন। ওই বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আগনে পুড়ে মারার এ ঘটনায় পরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close