আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৭ নভেম্বর, ২০১৮

সাগরতলে মাছের সঙ্গে বসবাস!

সাগরতলে মাছের সঙ্গে ঘুমানোর কথা শুনে হয়তো অনেকেই হাসবেন। বলবেন, এটা গাঁজাখুরি গল্প। বাস্তবে সত্যিই এমন হোটেল রয়েছে মালদ্বীপের রাঙ্গালি দ্বীপে। সাগরতলে আবাসিক হোটেল সেটি। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিলটন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পরিচালিত হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠান কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি দ্বীপে বিলাসবহুল দোতলা আবাসিক হোটেলটি বানিয়েছে।

পানির নিচে আবাসিক ওই হোটেল হিসেবে এটি সব দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি আবাসিক হোটেল। দোতলা হোটেলের ওপরের তলা পানির ওপরে হলেও নিচ তলার পুরোটাই পানির নিচে। সেখানে সাড়ে ১৬ ফুট আয়তনের রুমের সঙ্গে আছে শৌচাগার। হোটেলে যারা থাকবেন, তারা অনুভব করবেন যেন মাছের সঙ্গেই ঘুরছেন, ফিরছেন ও ঘুমাচ্ছেন। কাঁচঘেরা ঘর থেকে ভারত মহাসাগরে মাছ ও জলজ প্রাণী দেখতে পারবেন ঘুমানোর সময়।

‘মুরাকা’ নামের হোটেলটি বানাতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। মালদ্বীপের ভাষায় মুরাকা শব্দের অর্থ প্রবাল। নিচ তলায় বসে প্রবাল, মাছের খেলা আর সুপ্রসন্ন ভাগ্য হলে অক্টোপাসও দেখা যাবে। হোটেলের ওপরের তলা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হলেও নিচের তলা শুধুই অতিথিদের জন্য। সাগর তলের আবাসিক হোটেলে একসঙ্গে ৯ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।

দ্বীপের হোটেলটি ভারত মহাসাগরের ৫০০ মিটার নিচে অবস্থিত। পানির সাড়ে ১৬ ফুট নিচে বেডরুম। শুধু বেডরুমই নয়, পানির নিচের আরো কিছু কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে দর্শনার্থীদের জন্য।

সাগর তলের হোটেলটিকে এর মধ্যে উদ্ভাবনী প্রকল্প বলা হচ্ছে। কনরাড মালদ্বীপের মুখপাত্র বলছেন, ‘আমরা আমাদের অতিথির কাছে সমুদ্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য মুরাকায় থাকতে উৎসাহিত করছি। কারণ, এটি মালদ্বীপের একটি অসাধারণ সমুদ্রপথের সঙ্গে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে।’

শাওয়ারসহ হোটেলের রুমে যা যা থাকে, তাই আছে এই হোটেলের পানির নিচের কক্ষে। জিমনেশিয়াম, বার ও পুল থাকবে ওপরের তলায়। এই হোটেলে যারা থাকবেন, তারা ভারত মহাসাগরের অনিন্দ্য সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।

হোটেলের ভাড়ার কথা শুনলে পিলে চমকে যাবে। প্রতি রাতের জন্য পকেট থেকে খসে যাবে ৫০ হাজার ডলার। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ডলারের মূল্য ৮৩ টাকা ধরলে এই অঙ্ক গিয়ে ঠেকবে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এর সঙ্গে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

তবে মুরাকাই পানির নিচে প্রথম স্থাপনা নয়, দেশটির ইটহায় পানির নিচে আছে পাঁচ তারকা রেস্তোরাঁ। পানির নিচের হোটেল থেকে এই পাঁচ তারকা রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া যাবে। তবে সরাসরি পানির নিচ দিয়ে নয়। ওই হোটেলের জেটি ব্যবহার করে পাশের পাঁচ তারকা রেস্তোরাঁয় যেতে হবে।

এই মুরাকা হোটেল তৈরির সময় পরিবেশের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। লক্ষ রাখা হয়েছে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়। হোটেলের সবকিছুই তৈরি করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। বিশেষ জাহাজে করে মালদ্বীপে এনে স্থাপন করা হয়েছে। তথ্যসূত্র : সিএনএন

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close