পাঠান সোহাগ

  ০৪ জুন, ২০১৮

শৌখিন পোশাকের ঈদবাজার

বেইলী রোড

রুচিশীল পোশাক ও শাড়ির নজরকাড়া ডিজাইনের জন্য বরাবরই বিখ্যাত রাজধানীর নাটকপাড়া বলে খ্যাত বেইলী রোডের বিপণিবিতানগুলো। এবার ঈদ বাজারেও-এর ব্যতিক্রম হয়নি। বাঙালি নারীর সৌন্দর্য শাড়িতেই। দেশি সুতা, আকর্ষণীয় নকশা ও তাঁতিদের নিপুণ হাতের কারুকাজে তৈরি শাড়িতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে পুরো বেইলী রোড এলাকা। শৌখিন শাড়ি ক্রেতাদের ভিড় এখন বেইলী রোডের দোকানগুলোতে।

গতকাল রোববার সরেজমিনে বেইলী রোডে গিয়ে দেখা যায়, সব মিলিয়ে ১৮ থেকে ২০টি শাড়ির দোকান আছে। দোকানগুলোতে উৎসবের আমেজ। ইন্ফিনিটি মেগামল, ঈদ মিনা বাজার, আরটিসান, বুনন, ঝলক, বধূয়া, প্রিয়দর্শিনী, টাঙ্গাইলা তাঁতঘর, রমণী, স্মৃতি শাড়ি কুটির, এম ক্রাফট, সজনীসহ সব দোকানে ক্রেতার ভিড় চোখে পড়ার মতো। শাড়ি ছাড়াও এ এলাকায় ছেলেমেয়ের পছন্দসই সব রকম উপকরণ পাওয়া যায়। বিক্রেতারা জানান, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারসহ সাধারণ ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে পণ্যের মান অনুসারে এক দরে পণ্য বিক্রি করা হয়। নিরিবিলি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সকল পণ্য বিক্রি করা হয়।

বেইলী রোডের শপিং জোন ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। এখানকার একেকটি শাড়ির দোকানে রং-বেরং বাহারি কারুকাজের শাড়ি পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী ও ঢাকার শাড়ি। রয়েছে ভারতীয় শাড়িও। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, টাঙ্গাইলা তাঁতঘরে শাড়ি সবার পছন্দ এবং বিক্রিও বেশি হচ্ছে। এখানে ১৮ ধরনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে সুতি শাড়ির দাম ৪০০ থেকে আট হাজার টাকা, সিল্ক দেড় হাজার থেকে সাড়ে ১০ হাজার, জর্জেট দুই হাজার থেকে দুই লাখ, কোটা দুই হাজার থেকে সাত হাজার ও জামদানি আড়াই হাজার থেকে এক লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রাইডের বিক্রয়কর্মী মো. রবিন জানান, ক্রেতারা উপহার দেওয়ার জন্য এক হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দামের শাড়ি পছন্দ করছেন বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামের শাড়ি।

বেইলী রোডে শাড়ি কিনতে এসেছেন নিউ ইস্কাটনের শামিমা ও মাসফি। তারা বলেন, এখানে বিভিন্ন রকমের শাড়ি পাওয়া যায়। মাপও সঠিক। এখানে দেশি শাড়ির কদর আছে। দামও সাধ্যের মধ্যে। টাঙ্গাইলা তাঁতঘরে দেশি-বিদেশি শাড়ি পাওয়া যায়। এখানে ৫০০ থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা মূল্যের শাড়ি পাওয়া যায়। এ দোকানে কথা হয় শিমুর সঙ্গে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সিল্কের একটি শাড়ি কিনেছি। দাম নিয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকা। শারমিন আক্তার বলেন, টাঙ্গাইলের থ্রি-পিস কিনেছি। দাম নিয়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা।

বাংলাদেশ মহিলা সমিতির উদ্যোগে এবারও মেলা বসেছে। তরুণ-তরুণী ও সুন্দরী রমণীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে। এখানকার বিক্রেতা মো. রফিকুল জানান, এ মেলায় পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া এবং ছোটদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এখানে দেড় শ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে সবই পাওয়া যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist