সামিয়া রহমান

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

জেলেপল্লীতে শিক্ষার আলো...

রুবেল মিয়া। ২০১৭ সালে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক শেষ করে পিরোজপুরে নিজের বাড়ি ফিরে এক বিকেলে হাঁটতে বের হন নদী তীরে। দেখেন জেলেপল্লীর শিশুরা মাছ ধরছে। বিদ্যালয়ে না গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে শিশুশ্রমে। জেলে পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ। ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ সজীব মিত্রকে নিয়ে গড়ে তুললেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। এরপর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার চর ভোলমারা ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামে শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ফ্রাইডে স্কুল ও উপকূল পাঠাগার। হাতেখড়ি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্কুলে শিশুদের পাঠদানের পাশাপাশি পাঠাগারে বই পড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া অভিভাবক ও পড়াশোনায় অমনোযোগী শিশুদের কাউন্সেলিং করে বিদ্যালয়মুখী করার উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি। প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হচ্ছে কম্পিউটার ব্যবহার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে। শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য খেলাধুলা, শিক্ষণীয় সিনেমা, নাটক দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উপহারসামগ্রীও দেওয়া হয়। নিজেদের কাজ সম্পর্কে রুবেল মিয়া নাহিদ বলে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদী তীরবর্তী জেলে জনগোষ্ঠীর শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করার পাশাপাশি তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন। দারিদ্র্য এ জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত; যার ফলে সামাজিকভাবে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া এই জেলে জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ হাতেখড়ি ফাউন্ডেশন অর্জন করেছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০। গত চার বছরে শতাধিক শিশুকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে সংগঠনটি। সংগঠনের অন্যতম সদস্য পলাশ বৈরাগী বলেন, আমরা শিশুদের মধ্যে রঙিন ছাতা, টিফিন বক্স ও পানির পাত্র বিতরণ করছি। আমাদের রয়েছে এক টাকার মিনি মার্কেট। শুভেচ্ছা মূল্য এক টাকার বিনিময়ে শিশুরা কিনতে পারে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার উপকরণ। তা ছাড়া আরো কয়েকটি প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার শিশুর কল্যাণে কাজ করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close