ঢাবি প্রতিনিধি

  ২৫ মে, ২০২২

হলের সিনিয়রকে সালাম না দেওয়ায় ঢাবি ছাত্রলীগ কর্মীর থাপ্পড় 

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সিনিয়র ভাইকে সালাম না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঐ হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সাজ্জাদুল হক সাঈদি। তিনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

এদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিকুর রহমান মানিক তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী। সিয়াম ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।

ঘটনার বিষয়ে সাজ্জাদুল বলেন, আমি আমার কক্ষে অনলাইন ক্লাস করার সময় মানিক ভাই ও তার বন্ধুরা আমার রুমে আসেন। এসেই আমাকে বলেন, এই বেয়াদব তোর ভাইয়েরা আসছে দেখিস না, উঠে সালাম দিস না কেন? বলেই বাবা-মা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তিনি আমাকে তার কাছে যেতে বললে আমি তার কাছে যাই। ঠিক তখনি আকস্মিকভাবে তিনি আমার মুখ-কান বরাবর চড় মারেন। একইসঙ্গে গায়ের সর্ব শক্তি দিয়ে আমাকে লাথি মারেন। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারার মাধ্যমে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করেন। এ ঘটনার পর থেকে আর কানে শুনতে পাচ্ছি না।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী বলেন, মানিক ভাই হঠাৎ রুমে এসে সাজ্জাদকে ডাকেন এবং পরে সে ভাইয়ের কাছে যেতে না যেতেই তাকে গালিগালাজ করতে করতে থাপ্পড় মারেন। এরপর সাজ্জাদকে লাথি মেরে ও কিল-ঘুষি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। অহেতুক শুধুমাত্র সালাম না দেওয়ার কারণে সাজ্জাদকে বেধড়কভাবে মারধর করা হয়।

অভিযুক্ত মানিকের বিরুদ্ধে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ফুলার রোড ও শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাস এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। তার আচরণে হলের শিক্ষার্থীরা বিরক্ত বলে জানা গেছে। অনেক ছাত্রকে রাতে হল থেকে বের করে দেয়। হলে বেশিরভাগ সময়ই সে মাদক সেবন করে এবং মদ্যপ অবস্থায় জুনিয়রদের উপর অমানবিক নির্যাতন করেও বলে জানা যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মানিকুর রহমান মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বলেন, তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তেমন বড় কোনো ঘটনা না। কেউ হয়ত বাড়িয়ে বলছে। দুজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেব। আমাদের হলে কাউকে নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার (২৫ মে) এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভুঁইয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

বিষয়টি জানতে সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে কল দেওয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি,সালাম,সিনিয়র
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close