আবদুর রহমান রাসেল, রংপুর ব্যুরো

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

রংপুরের বাজার

পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দর

কয়েকদিনের ব্যবধানে রংপুরের বাজারে আবারো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও নি¤œ ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে পেঁয়াজের দাম। রংপুর মহানগরীর সিটি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এদিকে, কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। কয়েকদিন আঝে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।

ব্যবসায়ীদের মতে, কোন দেশ থেকে কখন পেঁয়াজ আসবে তা সরকার নির্ধারণ করলে স্থায়ীভাবে কাটবে পেঁয়াজের সঙ্কট। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে নজরদারি না থাকায় লাগাম ছাড়িয়েছে দাম। তবে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম বলে দাবি বিক্রেতাদের। নাহার বানু নামের একজন ক্রেতা জানান, দেশের প্রায় সব জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। রংপুরে এ অভিযান নেই বললেই চলে।

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে সৈয়দ আলী নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতিদিনের সংবাদের এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, ভারতে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি ও রফতানি নিষিদ্ধের পর রংপুরের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। আড়তদাররা দাবি করেন, একদিকে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে আসা অধিকাংশ পেঁয়াজ পচা। এ কারনে আবারো বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ক্যাব রংপুর জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক আহসান উল-হক তুহিন বলেন, পনের দিন আগে আসা পেঁয়াজতো হঠাৎ করে ১০০ টাকা হয়ে যাওয়ার কোন কারণ নাই। ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির কারণে এ অবস্থা।

তিনি আরো জানান, যাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। ৬০ টাকার কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। রসুন বিক্রি করছেন ১৪০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা আদা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে প্রতিকেজি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে।

সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি কমের কারনেই দাম বেড়েছে। রংপুরের বাজারে বস্তা প্রতি বেড়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি মোটা চাল ২২ টাকা থেকে ২৮ টাকা, বিআর ২৮ চাল ৩৮ টাকা, বিআর ২৯ চাল ৪০ টাকা এবং মিনিকেট চাল বিক্রি করছেন ৪৫ টাকা কেজিতে। বাজারে মাছ হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। প্রতিকেজি বাটা ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, মাগুর ৭০০ টাকা, কাতলা ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ও গচি মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, সিলভারকাপ ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ মাছ বাজারে না থাকায় অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। সিটি বাজারে আগের মূল্যেই ডিম বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা প্রতি হালি ডিম বিক্রি করছেন ৩৫ টাকা দরে। বাজারে গরু ও খাসির মাংসের উত্তাপ রয়েই গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ টাকা থেকে ৭৩০ টাকা দরে। ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার (বোতল) ১০০ টাকা এবং খোলা তেল ৮৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি মসুর ডাল (চিকন) ১০০ টাকা এবং মোটা ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। ক্রেতারা জানান, চিনির দাম কেজিতে চার টাকা বেড়েছে। বাজার মনিটরিং না থাকায় দাম বেড়েই চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close